চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৫ মিনিটের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড বাঁশখালী, নিহত ২

বাঁশখালী সংবাদদাতা

২৫ অক্টোবর, ২০২৩ | ৪:৪৯ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে চট্টগ্রামের বাঁশখালী উপজেলা। ভেঙে পড়েছে দুই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ১০টায় উপজেলার সরল ও কাথারিয়া ইউনিয়নে আতঙ্কে দুইজন নিহত হয়েছেন।

 

নিহতরা হলেন- সরল ইউনিয়নের উত্তর সরল এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের খলস্যাপাড়ার কবির আহমেদের স্ত্রী মমতাজ বেগম (৭০) ও কাঁথারিয়া ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের ফজর আহমদের ছেলে মমতাজ মিয়া (৫৫)।

 

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিসের সহকারী প্রকৌশলী লিপটন ওম বলেন, সরল ইউনিয়নের বাসিন্দা মমতাজ বেগম রাতে ঘর থেকে বের হয়েছিলেন। পরে তাকে বাইরে মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। ধারণা করা হচ্ছে- আতঙ্কে তার মৃত্যু হয়েছে। কাথারিয়ায় গাছ চাপা পড়ে মমতাজ মিয়া নামে আরও এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল রাত ১০টার দিকে ঘূর্ণিঝড় হামুনের ভয়াবহ তাণ্ডব চালায় বাঁশখালীতে। ১৫ মিনিটের ভয়াবহ তাণ্ডবে লণ্ডভণ্ড হয়ে গেছে পুরো উপজেলা। উপজেলার বাণীগ্রাম, চেঁচুরিয়া, গুণাগরি, সাহেবের হাট, জলদী, বৈলছড়ি, পাইরাং, নাপোড়াবাজার এলাকায় সড়কের পাশে ১৪টি গাছ ভেঙে পড়েছে। ভেঙে পড়েছে দুই শতাধিক বিদ্যুতের খুঁটি। ফলে গতকাল রাত ১০টা থেকে আজ সকাল ১১টা পর্যন্ত সড়ক যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এছাড়া হামুনে ব্যাপক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। মোবাইল-ইন্টারনেট সেবাও বন্ধ রয়েছে।

 

পল্লীবিদ্যুতের ডিজিএম রিষু কুমার ঘোষ বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনে জলদী সাব স্টেশন পর্যন্ত ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সাব স্টেশনের সামনে দুটি খুঁটি ভেঙে পড়েছে। এছাড়া ৩৩ হাজার ভোল্টের তার ছিঁড়ে গেছে। শতাধিক স্থানে বিদ্যুতের খুঁটি ভেঙে গেছে। লাইনের ওপর গাছ পড়ে তারও ছিড়ে গেছে। বিদ্যুৎ সংযোগ চালু করার চেষ্টা চলছে।

 

বাঁশখালী ফায়ার সার্ভিসের টিম লিডার নুরুল বশর বলেন, গতকাল রাত থেকে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় ভেঙে পড়া গাছ সরানোর কাজ শুরু করেছি। সড়কের পাশে থাকা গাছপালা সরিয়ে দেওয়ার পর সকাল ১১টা থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রেমবাজার-নাপোড়া পর্যন্ত রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে।

 

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) জেসমিন আক্তার বলেন, বাঁশখালীতে ঘূর্ণিঝড় হামুনের তাণ্ডবে ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ২৮৩টি ঘর পুরোপুরি ভেঙে গেছে ও ৪৬৬১টি ঘরের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। গতকাল আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা ব্যক্তিদের শুকনো খাবার দেওয়া হয়েছে। আজ ১ হাজার ৫০০ জনকে খাবার দেওয়া হবে। বিদ্যুৎ ব্যবস্থা চালুর জন্য চেষ্টা করা হচ্ছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন