কক্সবাজারের চকরিয়া ও পেকুয়ায় ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে এক ঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। দুই উপজেলায় ২৫টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় সিডর ও মোখার চেয়েও বেশি ক্ষতি হয়েছে। এতে অন্তত পাঁচশ কাঁচাঘর ভেঙে গেছে। ঘেরাবেড়া, গাছপালা উপড়ে গেছে। একাধিক বৈদ্যুতিক খুটি উপড়ে গিয়ে ও গাছ পড়ে সর্বত্র সঞ্চালন তার ছিড়ে বিদ্যুৎ বিহীন রয়েছে দুই উপজেলা। ফোন ও ইন্টারনেট সংযোগ বেশিরভাগ এলাকায় একেবারে নেই, কোথাও থাকলেও এই আছে এই নেই অবস্থা। সড়কের উপর উপড়ে পড়া গাছ পড়ে থাকায় অভ্যন্তরীণ সড়ক যোগাযোগ পুরোপুরি সচল হয়নি। ধান-সব্জির ক্ষতি হয়েছে ব্যাপক। পহরচাঁদা ফাজিল মাদ্রাসাসহ বেশ কয়েকটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানেও অত্যাধিক ক্ষতি হয়েছে।
পল্লীবিদ্যুৎ সমিতি জানিয়েছে, চকরিয়া-পেকুয়ায় পুরো বিদ্যুৎ ব্যবস্থাই ভেঙে পড়েছে। চালু করতে কয়েকদিন লাগবে।
চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জেপি দেওয়ান বলেন, রাত ৯টা থেকে ১০টা পর্যন্ত একঘণ্টার দমকা হাওয়ায় ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যানদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে ক্ষতি বিবরণ লিখিত দিতে। সরকারি অফিসারদের নিয়ে গঠিত একাধিক টিমও ক্ষতির পরিমাণ নিরূপণে কাজ করছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ