প্রবল ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত ৮টার দিকে আঘাত হেনেছে। যার কারণে কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৬ নম্বর বিপদ সংকেত নামিয়ে তার পরিবর্তে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়।
মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে রাত সাড়ে ৯টা পর্যন্ত কক্সবাজার উপকূলজুড়ে তীব্র দমকা হাওয়া ও ভারী বৃষ্টিপাত হয়। এতে কক্সবাজারের উপকূলীয় কয়েকটি এলাকা প্লাবিত হওয়ার পাশাপাশি অনেক গাছপালা ভেঙ্গে গেছে। বন্ধ হয়ে গেছে বিভিন্ন জায়গায় গাড়ি চলাচল।
কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান জানিয়েছেন, জেলার ৯টি উপজেলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্র খোলা হয়েছে। যেখানে অনেক মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ে এসেছেন। তাদের সঠিক সংখ্যা এই মুহূর্তে বলা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে, দমকা হাওয়ার কারণে জেলার ব্যাপক এলাকাজুড়ে গাছ ভেঙ্গে যাওয়ার তথ্য জানিয়েছেন স্থানীয় লোকজন। একইসঙ্গে মহেশখালী উপজেলার ধলঘাটা, কুতুবদিয়া উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়নসহ উপকূলীয় নিম্নাঞ্চলে জোয়ারের পানি প্রবেশ করে প্লাবিত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে
এদিকে ঘূর্ণিঝড় হামুন মোকাবিলায় ৫৭৬টি আশ্রয়কেন্দ্রের পাশাপাশি ১০ হাজার স্বেচ্ছাসেবক প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) প্রস্তুতি সভা শেষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ তথ্য জানানো হয়।
গত সোমবার রাত থেকে কক্সবাজারের উপকূল এলাকায় বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া মঙ্গলবার ও আগামীকাল বুধবার কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলসহ সারাদেশে ভারী বৃষ্টি হবে বলে জানিয়েছে কক্সবাজার আবহাওয়া অফিস।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) বিভীষণ কান্তি দাশ জানান, ঘূর্ণিঝড় মোকাবিলায় দুপুরে জরুরি প্রস্তুতি সভা করা হয়েছে। এখানকার প্রায় ৫৭৬টি সাইক্লোন শেল্টার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। পরিস্থিতি বিবেচনা করে লোকজনকে নিরাপদ স্থানে সরিয়ে আনা হবে।
পূর্বকোণ/আরাফাত/জেইউ/পারভেজ