চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

টেকনাফ-সেন্টমার্টিনে হামুনের প্রভাবে ভারী বৃষ্টি, বেড়েছে সমুদ্রের পানি

টেকনাফ সংবাদদাতা

২৪ অক্টোবর, ২০২৩ | ৯:২১ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সেন্টমার্টিন ও টেকনাফ উপকূলের বিভিন্ন জায়গায় ভারী বৃষ্টি ও বাতাস হয়েছে। বিকেল থেকে শুরু হয়েছে ঝড়ো বাতাস। ফলে দ্বীপের অনেক এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ছে। দুপুর থেকে দ্বীপে মাইকিং করে স্থানীয় ও পর্যটকদের সতর্কতাসহ নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) আবহাওয়া অধিদপ্তরের সর্বশেষ বুলেটিনে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হয়। সকালে উপজেলা প্রশাসন হামুন বিষয়ে জরুরি মিটিং করেছে।

 

ইউএনও মো. আদনান চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় ভাইস চেয়ারম্যান তাহেরা আক্তার মিলি, সরকারি বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন। সভায় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। টেকনাফ উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশে সর্বত্র মাইকিং করা হয়েছে।

 

এদিকে, মঙ্গলবার বিকাল থেকে টেকনাফে বিদ্যুৎ সরবরাহ বন্ধ রয়েছে। এতে রোগী, সর্বসাধারণ, বিশেষ করে সংবাদকর্মীগণ চরম ভোগান্তির মধ্যে পড়েছেন।

 

সেন্টমার্টিন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মুজিবুর রহমান বলেন, সেন্টমার্টিন-টেকনাফ নৌপথে পর্যটকবাহী জাহাজসহ সকল নৌযান পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত চলাচল বন্ধ ঘোষণা করা হয়। সেই সঙ্গে সেন্টমার্টিনে আসা সকল পর্যটককে সোমবার দ্বীপ ছাড়ার নির্দেশনা দিলে প্রায় ১৪ শ পর্যটক ওইদিন ফেরত গেলেও ইচ্ছাকৃতভাবে দুই শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে যান। মঙ্গলবার আবহাওয়া অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখাতে বলা হলে আমরা দ্বীপের সব জায়গায় মাইকিং করে সকলকে সতর্ক করছি। দ্বীপে সকাল থেকে গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি ও হালকা বাতাস বইছিল। কিন্তু দুপুরের পর থেকে ভারী বৃষ্টি হচ্ছে। বৃষ্টি ও জোয়ারের পানি আসায় সাগরে ঢেউ আগের তুলনায় বাড়ছে। দ্বীপের জেটিঘাটের পাশে থাকা একটি ঝাউগাছ বাতাসে ভেঙে পড়েছে। অন্য এলাকাতেও কিছু গাছপালা পড়ে যাওয়ার খবর পাওয়া যাচ্ছে।

 

সেন্টমার্টিন টুরিস্ট পুলিশ ফাঁড়ির সহকারী উপ-পরিদর্শক মো. মাহফুজুর রহমান বলেন, সোমবার প্রশাসনের ঘোষণার পরও দুই শতাধিক পর্যটক দ্বীপে থেকে যায়। তারা নিজেদের ইচ্ছায় দ্বীপে রয়ে গেছেন। তাদের মাঝে ১০-১২ জন ভারতীয় পর্যটকও আছেন। তাদের নিরাপত্তার স্বার্থে সকাল থেকে হোটেল ও কটেজে গিয়ে কথা বলে সুবিধা-অসুবিধার খোঁজ খবর নেওয়া হয়। আবহাওয়া পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা ফিরে যাবেন।

 

টেকনাফের উপকূলীয় ইউনিয়ন বাহারছড়া ইউপি চেয়ারম্যান আমজাদ হোসাইন খোকন সিকদার বলেন, উপকূলে ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাবে সকাল থেকে বৃষ্টির পাশাপাশি বাতাসও বইছে। বেড়েছে সমুদ্রের পানিও। তবে এখনো পর্যন্ত বড় কোনো সম্যসা দেখা যায়নি।

 

টেকনাফ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আদনান চৌধুরী বলেন, ঘূর্ণিঝড় হামুনের প্রভাব মোকাবিলায় আগাম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। আমরা এরইমধ্যে সেন্টমার্টিন-শাহপরীর দ্বীপসহ সীমান্তের উপকূলীয় এলাকাগুলোতে মাইকিং করে বাসিন্দাদের নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য বলেছি। পাশাপাশি পর্যাপ্ত শুকনো খাবারসহ ৬৪টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তত রাখা হয়েছে।

 

পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন