কক্সবাজারের টেকনাফের বাহারছড়ায় মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা আবুল হাশেম (২২) নামে এক যুবককে অপহরণ করে নিয়ে গেছে।
রবিবার (২২ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৯টার দিকে ওই ইউনিয়নের নোয়াখালিয়াপাড়ার (খামারপাড়ার) পাহাড়ের পাদদেশের বসতঘর থেকে বাইরে বের হলে তিনি অপহরণের শিকার হন।
অপহৃত আবুল হাশেম নোয়াখালিয়াপাড়ার বাসিন্দা আবদুর রহিমের ছেলে।
সোমবার (২৩ অক্টোবর) প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবারের বরাত দিয়ে বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ইলিয়াস বলেন, অপহৃত আবুল হাশেম আমার চাচাতো ভাইয়ের ছেলে। তিনি টেকনাফ পৌরসভার পুরান পল্লানপাড়ার আবুল কাশেমের একটি খাবার পানি সরবরাহ প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন। সন্ধ্যায় টেকনাফ থেকে বাড়িতে আসেন। রাতে ভাত খেয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগে ঘর থেকে বাইরে বের হলে মুখোশধারী সন্ত্রাসীরা অস্ত্রের মুখে তাকে জিম্মি করে টেনেহিঁচড়ে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যায়। এ সময় তার চিৎকারে বাড়ির লোকজন বের হয়ে টর্চলাইটের আলোয় মুখোশধারী কিছু লোক হাশেমকে পাহাড়ের দিকে নিয়ে যেতে দেখেছে। এখানে এভাবে বসবাস করা কঠিন হয়ে পড়েছে। পাহাড়ে থাকা রোহিঙ্গা সন্ত্রাসীরা টাকার জন্য স্থানীয় লোকজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায় করে আসছে। আবুল হাশেমকেও তারা অপহরণ করেছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে স্থানীয় মানুষের মধ্যে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার বেলা পৌনে ১১টার দিকে বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা পাহাড়ের পাদদেশে পানবরজে কাজ করার সময় সোনা আলী (৩৫) নামের একজন অপহরণের শিকার হন। তিনি বাহারছড়া ইউনিয়নের মাথাভাঙ্গা গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে।
বাহারছড়া তদন্ত কেন্দ্রের পরিদর্শক মো. মশিউর রহমান বলেন, বাহারছড়া ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার মোহাম্মদ ইলিয়াসের মাধ্যমে আমি অপহরণের বিষয়টি শুনেছি। ঘটনাস্থলে পুলিশের একটি দল পাঠানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত সাড়ে ৯ মাসে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ৯০ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৪৬ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকি ৪৪ জন রোহিঙ্গা। অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৪০ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।
পূর্বকোণ/কাশেম/জেইউ/পারভেজ