চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চন্দনাইশ-দোহাজারী হাসপাতাল

দু’সপ্তাহ ধরে সরবরাহ নেই ‘সেফট্রিয়াক্সোন’ ইনজেকশন

ইমাম হোসাইন রাজু

২২ অক্টোবর, ২০২৩ | ৩:০৮ অপরাহ্ণ

দোহাজারীর বাসিন্দা কামরুল ইসলাম। সপ্তাহখানেক আগে অসুস্থ হয়ে ভর্তি হন দোহাজারী ৩১ শয্যা হাসপাতালে। পরীক্ষা-নিরীক্ষার পর এ যুবকের শরীরে শনাক্ত হয় টাইফয়েড। রোগ সারাতে চিকিৎসক শিরায় পুশ করার ‘সেফট্রিয়াক্সোন’ ইনজেকশন লিখে দেন। কিন্তু সরকারিভাবে সরবরাহ নেই জীবনরক্ষাকারী এ ওষুধের। যার জন্য কামরুলের স্বজনদের বাইরের ফার্মেসি থেকে কিনতে হয় ইনজেকশনটি। শুধু কামরুল ইসলাম একাই নন। টাইফয়েড, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগীদের শিরায় ব্যবহারের এ ইনজেকশনটি দোহাজারী ও চন্দনাইশ উপজেলা হাসপাতালে ভর্তি থাকা কোন রোগীই পাচ্ছেন না গত দুই সপ্তাহ ধরে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, সরকারিভাবে সরবরাহ না থাকায় এ সংকট তৈরি হয়েছে। ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে এর চাহিদা পাঠানো হয়েছে।
জানা যায়, চন্দনাইশ উপজেলার আড়াই লাখের অধিক বাসিন্দার জন্য সরকারিভাবে ৫০ শয্যার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও দোহাজারীর ৩১ শয্যা হাসপাতালই ভরসা। কিন্তু সম্প্রতি সময়ে ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া ও টাইফয়েড আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধি পাওয়ায় দোহাজারী ও চন্দনাইশ হাসপাতালে সংকট দেখা দেয় শিরায় পুশ করার ইনজেকশনটি। দোহাজারী ৩১ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার (আরএমও) ডা. আহমেদ তানজিমুল ইসলাম পূর্বকোণকে বলেন, ‘সরকারিভাবে সরবরাহ না থাকায় সপ্তাহখানেক ধরে হাসপাতালে ‘সেফট্রিয়াক্সোন’ ইনজেকশনের সংকট তৈরি হয়েছে। ইনজেকশনটি টাইফয়েড, ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া রোগীদের ব্যবহার করা হয়ে থাকে।’
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, সরবরাহের ঘাটতির বিষয়টি জানিয়ে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট বিভাগে চাহিদা পত্র প্রেরণ করা হয়েছে। কিন্তু এসেনসিয়াল ড্রাগস কোম্পানি লিমিটেড (ইডিসিএল) সঙ্গে যোগাযোগ করার পরও পর্যাপ্ত ওষুধ সরবরাহ না থাকায় তা সঠিক সময়ে পাওয়া যাচ্ছে না। যার কারণে রোগীরা ইনজেকশনটি বাইরে থেকে ক্রয় করতে হচ্ছে। যদিও আগামী মাসের শুরুতে ইনজেকশনটি ইডিসিএল থেকে পাঠানো হবে বলে জানানো হয়। জানতে চাইলে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আব্দুল্লাহ আল ইফরান পূর্বকোণকে বলেন, ‘শুধু দোহাজারী হাসপাতালে নয়। চন্দনাইশ উপজেলা হাসপাতালেও সপ্তাহের বেশি সময় ধরে সংকট রয়েছে ‘সেফট্রিয়াক্সোন’ ইনজেকশনের। যদিও দোহাজারী হাসপাতালেই সবচেয়ে বেশি রোগী থাকে। ইতোমধ্যে ইডিসিএল’র কাছে চাহিদা পাঠানো হয়েছে। দ্রুত ইনজেকশনটি পাঠানোর ব্যবস্থার জন্য যোগাযোগ চলছে। আশা করছি শীঘ্রই পাওয়া যাবে।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন