চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

পেকুয়ায় হত্যার পর পা কেটে নিল সন্ত্রাসীরা: পরিকল্পনাকারীসহ গ্রেপ্তার আরও ৩

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

১৪ অক্টোবর, ২০২৩ | ৪:১৬ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের পেকুয়ায় আবু ছৈয়দ নামে একব্যক্তিকে হত্যা করে পা কেটে নেওয়ার ঘটনায় করা মামলার অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলাম মোজাহিদসহ আরও ৩ জনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। নেজামুল ইসলাম পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ওয়াশিমের ব্যক্তিগত সহকারী। এই নিয়ে মামলাটির ১১ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ ও র‍্যাব।

 

শনিবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে ৩ জনকে গ্রেপ্তারের তথ্য নিশ্চিত করেছেন কক্সবাজারস্থ র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন।

 

গ্রেপ্তাররা হলেন- পেকুয়ার মগনামা ইউনিয়নের আফজালিয়াপাড়ার নুরুল ইসলামের ছেলে নেজামুল ইসলাম মুজাহিদ (২৮), একই এলাকার মৃত নুরুন্নবীর দুই ছেলে আমিরুজ্জামান (২৮) ও জামিল ইব্রাহিম ছোটন (২৫)।

 

সংবাদ সম্মেলনে র‍্যাব-১৫ এর অধিনায়ক লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, গত ১০ অক্টোবর বিকেলে মগনামার আফজলিয়াপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব শত্রুতার জেরে আবু ছৈয়দকে নৃশংসভাবে কুপিয়ে হত্যাসহ তার একটি পা কেটে নিয়ে যায় সন্ত্রাসীরা। এছাড়াও এ ঘটনায় আবু ছৈয়দের স্ত্রীসহ চারজন গুরুতর আহত হন। এই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তার ও হত্যার সুষ্ঠু বিচারের দাবিতে এলাকাবাসীর মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়। হত্যাকাণ্ডের পর দিন ১১ অক্টোবর নিহতের ছেলে ছৈয়দ মোহাম্মদ ইমন বাদী হয়ে ২৪ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে পেকুয়া থানায় মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি সর্ম্পকে অবগত হওয়া মাত্রই র‍্যাব-১৫ ছায়াতদন্ত শুরু করে এবং ঘটনায় জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করে।’

 

লে. কর্নেল এইচএম সাজ্জাদ হোসেন বলেন, শুক্রবার মধ্যরাতে অভিযান চালিয়ে পেকুয়ার আফজালিয়াপাড়ায় আত্মগোপনে থাকা মামলার ২ নম্বর আসামি ও অন্যতম প্রধান পরিকল্পনাকারী নেজামুল ইসলামসহ ৩ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

 

তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ৩ জন ঘটনার সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে এবং ঘটনার রোমহর্ষক বর্ণনা দেয়। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানায় যে- ঘটনার ৩ দিন আগে হত্যাকারীরা নিজেদের মধ্যে গোপন সভা করে হত্যার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেন। সে মোতাবেক গত ১০ অক্টোবর বিকেল ৩টায় আবু ছৈয়দ তার শ্বশুরবাড়িতে অবস্থান করছেন, এমন সংবাদের ভিত্তিতে তারা অস্ত্র-শস্ত্র নিয়ে সেখানে হানা দেন। একপর্যায়ে তারা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আবু ছৈয়দকে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। প্রাণ বাঁচাতে আবু ছৈয়দ খাটের নিচে ঢুকে পড়লে সেখান থেকে তাকে টেনে-হিঁচড়ে বের করে হাত-পা চেপে ধরে কোপানোর পর মৃত ভেবে ফেলে রেখে চলে যান। এ সময় আবু ছৈয়দের ডান পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে নিয়ে যান তারা। এ ঘটনায় ২৫ জনের সশস্ত্র একটি দল অংশ নেন। এ সময় স্থানীয় লোকজনদের অস্ত্র উঁচিয়ে হুমকি প্রদান করে তারা।’

 

গ্রেপ্তার আসামিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা শেষে থানায় হস্তান্তর করা হবে। পলাতক অন্যান্য আসামিদের আইনের আওতায় আনতে র‍্যাবের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন