অপহরণের তিনদিন পর কক্সবাজারের চকরিয়ার ব্যবসায়ীকে উখিয়া থেকে উদ্ধার করেছে র্যাব-১৫। একইসঙ্গে অপহরণ চক্রের ২ সদস্যকে আটক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১২ অক্টোবর) ভোরে উখিয়ার জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরী পাড়া থেকে তাদের উদ্ধার করা হয়।
উদ্ধার হওয়া অপহৃত ব্যবসায়ী হলেন- চকরিয়া উপজেলার মাইজঘোনার মাঝেরপাড়া এলাকার সাখাওয়াত হোসেন (৩৩)।
আটক অপহরণ চক্রের দুই সদস্য হলেন- জালিয়াপালং ইউনিয়নের লম্বরীপাড়া এলাকার মৃত গুরা মিয়া চৌধুরীর ছেলে নইমুদ্দিন (৩৫) ও একই এলাকার মৃত ওলা মিয়ার ছেলে আব্দুল মালেক প্রকাশ মালেক মিয়া (৫৬)।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় র্যাব-১৫ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (আইন ও গণমাধ্যম) মো. আবু সালাম চৌধুরী এ তথ্য জানান।
তিনি আরও জানান, চকরিয়ার মোহাম্মদ আশহাদুল ইসলাম নামে একব্যক্তি র্যাব-১৫ বরাবরে একটি অভিযোগ দায়ের করেন। যেখানে বলা হয়- গত ৯ অক্টোবর তার বড় ভাই মাছ ব্যবসায়ী সাখাওয়াত হোসেন জমি-জমা সংক্রান্ত মামলার কাজে কক্সবাজারে আসেন এবং ঐদিন কক্সবাজার থেকে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে অপরহণের শিকার হন। পরদিন ১০ অক্টোবর সকালে অপহরণকারীরা মোহাম্মদ আশহাদুল ইসলামের ব্যক্তিগত মোবাইল নম্বরে কল দিয়ে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে এবং অন্যথায় তার ভাইকে খুন করে লাশ গুম করে ফেলার হুমকি ও ভীতি প্রদর্শন করে। পরে অপহরণকারীদের সাথে আলোচনা করে অপহরণকারীদের প্রদত্ত পার্সোনাল নগদ নম্বর ০১৮৮২-৬৩২৮৯৮ এ নম্বরে ৫০ হাজার টাকা পাঠিয়েও অপহৃত ভিকটিমের মুক্তি মেলেনি। এ অভিযোগের প্রেক্ষিতে র্যাবের একটি দল লম্বরী পাড়া এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে অপহৃত ব্যবসায়ীকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এ সময় অপহরণ চক্রের মূলহোতাসহ দুইজনকে আটক এবং অপহৃত ব্যক্তির কাছ থেকে ছিনিয়ে নেয়া ১ লাখ টাকার মধ্যে ৮৩ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
র্যাব জানিয়েছে- প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ঘটনার দিন কক্সবাজারের কলাতলী ডলফিন মোড় এলাকায় অবস্থানকালে ব্যবসায়ীকে মাইক্রোবাসযোগে অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হত্যার ভয় দেখিয়ে জোরপূর্বক অপরহণ করে উখিয়ায় নিয়ে যায়। চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে কক্সবাজার শহর এলাকার বিভিন্ন জনসাধারণকে নানা কায়দা-কৌশলে জোরপুর্বক অপহরণ করে শারীরিক নির্যাতন ও মুক্তিপণ বাবদ নগদ অর্থ আদায় করে আসছিল।
পূর্বকোণ/এএইচ