চট্টগ্রাম শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

খাবার হোটেলে বাগবিতণ্ডা থেকে সংঘর্ষে জড়ালো ছাত্রলীগ, আহত ১০

চবি সংবাদদাতা

৬ অক্টোবর, ২০২৩ | ৭:৩৭ অপরাহ্ণ

হোটেলে খাওয়ার সময় ডালের বাটি পড়ে যাওয়াকে কেন্দ্র করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে উভয় গ্রুপের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে বলে জানিয়েছেন চবি মেডিকেল কর্তৃপক্ষ। শুক্রবার (৬ অক্টোবর) বিকেল ৩টার দিকে এ সংঘর্ষ শুরু হয়। পৌনে ৪টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টরিয়াল টিম ও পুলিশের হস্তক্ষেপে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।

 

সংঘর্ষে জড়ানো শাখা ছাত্রলীগের গ্রুপ দুটি হল সিক্সটি নাইন ও বিজয়। সিক্সটি নাইন গ্রুপটি সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন এবং বিজয় গ্রুপটি শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত।

 

সংঘর্ষের সময় সিক্সটি নাইন গ্রুপের কর্মীরা শাহ জালাল ও আমানত হলের সামনে এবং বিজয় গ্রুপের কর্মীরা সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে অবস্থান নিয়ে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায়।

 

ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে ক্যাম্পাসের একটি হোটেলে খাবার শেষে টেবিল থেকে বের হবার সময় সিক্সটি-নাইন গ্রুপের কর্মী আজমিরের হাতের ধাক্কা লেগে টেবিলের ওপরে থাকা ডালের বাটি পড়ে যায়। এ বিষয়টি নিয়ে বিজয় গ্রুপের কর্মী মাহিরের সঙ্গে আজমিরের কথা-কাটাকাটি হয়। এর জেরে দুই গ্রুপে উত্তেজনা ছড়ালে বিকেলে সংঘর্ষে জড়ায় কর্মীরা।

 

সিক্সটি নাইন গ্রুপের নেতা ও শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাইদুল ইসলাম সাইদ বলেন, বিজয় গ্রুপের কিছু ছেলে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে আমাদের এক ছোট ভাই আজমিরের গায়ে হাত তুলেছে। আমরা তারপরও পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে আমাদের ছেলেদের হলে রেখেছিলাম। পরে ওদের ছেলেরা সোহরাওয়ার্দী হলের ক্যান্টিনের সামনে এসে উস্কানিমূলক আচরণ করে মারামারিতে অগ্রসর হলে তার প্রেক্ষিতে আমাদের ছেলেরা প্রতিহত করে। আমরা সিনিয়ররা পরিস্থিতি শান্ত করে সংঘর্ষ আর বড়াতে দেইনি।

 

বিজয় গ্রুপের নেতা শাখাওয়াত হোসাইন বলেন, এটা ভুল বোঝাবোঝির কারণে হয়েছে। আমি চেয়েছি ঝামেলাটা না বাড়ানোর জন্য। কিন্তু বিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোতিদভাবে ঝামেলা করতে আসে। পরে আমাদের হলের সবাই প্রতিহত করে। সিক্সটি নাইনের সিনিয়দের সঙ্গে কথাবার্তা বলছি। দ্রুত সমাধান হয়ে যাবে।

 

সহকারী প্রক্টর নাজেমুল আলম বলেন, দুই পক্ষ এখন শান্ত আছে। সবাইকে হলে ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। খাবার হোটেল থেকে কর্মীদের মধ্যে বাগবিতণ্ডা হয়, এ নিয়ে সংঘর্ষের সূত্রপাত। উভয় গ্রুপের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে।

 

বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল সেন্টারের প্রধান কর্মকর্তা ডা. আবু তৈয়ব বলেন, সংঘর্ষে আহত ১০ জন চিকিৎসা নিয়ে ফিরে গেছেন। সবাই পাথরে আঘাত পেয়েছে, গুরুতর আহত কেউ নেই।

 

পূর্বকোণ/রায়হান/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট