চট্টগ্রাম শনিবার, ২১ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

পরিবারের মরদেহ পাওয়ার আকুতি

আর্থিক দৈন্যতায় আমিরাতের মর্গে পড়ে আছে ফটিকছড়ির এনামের লাশ

নাজিরহাট সংবাদদাতা  

১ অক্টোবর, ২০২৩ | ৪:৫১ অপরাহ্ণ

ভাগ্য পরিবর্তন আর পরিবারের সুখের আশায় আনুমানিক আড়াই বছর আগে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ আরব আমিরাতে পাড়ি দিয়েছিলেন ফটিকছড়ির সুয়াবিল ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মুহাম্মদ এনাম (৪৩)। ভিজিট ভিসায় গিয়ে ভাগিনার সহযোগিতায় ফ্রি ভিসাতে ভিসা ট্রান্সপার করে সেখানে পেইন্টারের কাজ করতেন এনাম। থাকতেন আরব আমিরাতের আজমান নগরীতে।

 

গত ২৭ সেপ্টেম্বর এনামের পরিবারে নেমে এলো এক কালো অধ্যায়। সেদিন দিনগত রাতে হ্রদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মৃত্যুবরণ করেন রেমিট্যান্স যোদ্ধা মুহাম্মদ এনাম। মৃত্যুর পর থেকে আজমান পুলিশের জিম্মায় সেখানকার মর্গে রয়েছে এনামের লাশ। আর্থিক সংকটের কারণে এনামের লাশ দেশে আনার প্রক্রিয়ায় যেতে পারছে না স্বজনরা। এনামের টাকায় দেশের রেমিট্যান্সের চাকা সচল হলেও টাকার মেশিনটি অচল হয়ে মর্গে পড়ে আছে। কখন কিভাবে কোন উপায়ে এনামের লাশ দেশে আনা হবে তার কোন সদুত্তর দিতে পারেনি তার পরিবার। জানা গেছে, দুই ভাই, দুই বোনের মধ্যে এনাম ছিল বড়। রয়েছে বৃদ্ধ মা, বাবা। ছোট ভাই আমিরাত প্রবাসী বর্তমানে দেশে ছুটিতে আছেন। ভাইয়ের আর্থিক অবস্থাও তেমন ভালো না। এনামের পরিবারে তার স্ত্রী ও দুই কন্যা সন্তান রয়েছে। ৪ বছরের মাহি এখনো স্কুলে ভর্তি হয়নি আর ৯ বছরের জেসমিন পঞ্চম শ্রেণিতে পড়ে। এনামের আয়ে সুখেই ছিল তার পরিবার।

 

তার পিতা নুরুল ইসলাম জানিয়েছেন, আমি আমার মনকে বুঝাতে পারছি না। আমি আমার ছেলের লাশটি অন্তত চাই। নিজের হাতে ছেলের দাফন-কাফন করতে চাই। তিনি ছেলের লাশ দেশে আনতে সরকার ও প্রবাসী ভাইদের সহযোগিতা চান।

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট