কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাটে অবৈধ বাল্কহেড ও ছোট নৌযান চলাচলের মধ্যে বিপদজনকভাবে চলাচল করছে ফেরি সার্ভিস। ইতিমধ্যেই ফেরির সঙ্গে বাল্কহেডের একাধিকবার ধাক্কা লেগেছে। তারপরও টনক নড়ছে না সংশ্লিষ্টদের। ১ আগস্ট থেকে সংস্কার কাজের জন্য কালুরঘাট সেতু বন্ধ থাকায় যানবাহন পারাপারে ফেরি চালু করা হয়। গত ২৩ আগস্ট চলাচলরত ফেরির সঙ্গে ধাক্কা লাগে বালুবাহী বাল্কহেডের। বড় ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা মিলে ফেরি যাত্রী ও যানবাহনের। বোয়ালখালী প্রান্ত থেকে ছেড়ে আসা ফেরির সাথে মাঝপথে এই ধাক্কা লাগে। হতাহতের ঘটনা না ঘটলেও ফেরি ও বাল্কহেডের ক্ষতি হয়। সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বাল্কহেড চলাচলের কারণে ফেরি চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি হওয়ার বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে লিখিতভাবে জানানোর কথা পূর্বকোণকে বলেছিলেন। সরেজমিন দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীতে দীর্ঘদিন ধরে বালু উত্তোলন চলে আসছে। এসব বালু পরিবহনে সেতু এলাকায় নির্বিঘ্নে চলাচল করে আসছে
বালুবাহী বাল্কহেড ও বড় নৌকা। ১ আগস্ট থেকে সংস্কারের জন্য বন্ধ রয়েছে কালুরঘাট সেতু। যানবাহন পারাপারে সেতু সংলগ্ন নদীতে ফেরি সার্ভিস চালু করা হয়। ফেরি সার্ভিসের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে চলছে বালুবাহী বড় নৌকা ও বাল্কহেড। এছাড়াও ফেরির সঙ্গে নৌকা-সাম্পানেও চরম ঝুঁকি নিয়ে যাত্রী পারাপার হচ্ছে। এক নৌকায় গাদাগাদি করে ৩০-৩৫ জন যাত্রী পারাপার করা হয়। অমাবস্যা ও পূর্ণিমার জোয়ারে নদীর পানি ফুঁসে উঠে। তখন জোয়ারের পানিতে ফেরিঘাট ডুবে যায়। এসময় অনেকটা ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে শত শত যাত্রী। নৌযান ও বাল্কহেড চলাচলের কারণে ফেরি চলাচল ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বালুমহাল ও মাটি ব্যবস্থাপনা আইনের ইজারা চুক্তির ৭ নাম্বার ধারায় বলা হয়েছে, বালু ব্যবসা-বাণিজ্য বা চলাচলের জন্য স্বাভাবিক নৌ-চলাচলে কোন ধরনের বিঘ্ন সৃষ্টি করতে পারবে না ইজারাদাররা। দেখা যায়, কর্ণফুলী নদীর কালুরঘাট সেতু থেকে শাহ আমানত সেতু এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে চলাচল করে আসছে বালুবাহী বাল্কহেড। বন্দর চ্যানেলেও চলাচল করছে এসব বাল্কহেড। এতে বন্দর এলাকায় জাহাজ চলাচল বিপদজনক হয়ে পড়েছে। এসব কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙর ও বন্দর চ্যানেলে ভলগেট চলাচল নিষিদ্ধ করেছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
পূর্বকোণ/এসি