চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে নিয়ন্ত্রণহীন একটি ট্রাক মহাসড়ক থেকে মাদ্রাসা ঢুকে পড়ে ট্রাক হেল্পার ও মাদ্রাসায় থাকা ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়েছে।
সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরার গুল আহাম্মদ এলাকার হাম্মাদিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। আহত শিক্ষার্থীদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রেরণ করা হয়েছে।
দুর্ঘটনায় আহতরা হল, মাদ্রাসা শিক্ষার্থী মো. মেহদি হাসান (১২), মো. নাহিন (১২), মো. আবদুল্লাহ (৮), মো. আল আমিন (১০), মাজেদ আলম (১২), মো. নাঈম (১১), ওমর ফারুক (১১), মো. নাজিম (১৩), সাইফুল হোসেন (১২), জাহিদুল ইসলাম (১১), মো. ওয়ালিদ (১২) ও ট্রাক হেল্পার মো. জাহিদুল করিম (১৭)।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, বিকালে ১১ শিক্ষার্থী ও এক ট্রাক হেল্পারকে স্থানীয়রা হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তাদের মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত লেগে গুরুতর আহত হয়েছে। তাদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়েছি। তবে আহতদের মধ্যে নাহিন, মেহেদি হাসান, আবদুল্লাহ ও আলামিনের মাথায় গুরুতর আঘাত থাকায় তাদের চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
কুমিরা ফায়ার সার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ জানান, বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে হাম্মাদিয়া নূরানী মাদ্রাসা ও এতিমখানায় একটি ট্রাক নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ভেতরে ঢুকে যায়। এতে ভেতরে থাকা শিক্ষার্থীরা আহত হন। এছাড়া ট্রাক হেল্পারও আহত হন। আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করাই।
হাম্মাদিয়া নূরানী মাদ্রাসার সহকারী অধ্যক্ষ হাফেজ আব্দুর রহমান জানান, কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই নিয়ন্ত্রণহীন ট্রাকটি দেয়াল ভেঙে মাদ্রাসায় ঢুকে পড়ে। এতে শ্রেণিকক্ষে থাকা ১১ শিক্ষার্থী গুরুতর আহত হয়। আহতদের মধ্যে সাতজন শিক্ষার্থীকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দিয়ে ছেড়ে দিলেও চারজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের চমেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
পূর্বকোণ/সৌমিত্র/জেইউ/পারভেজ