কক্সবাজারের চকরিয়ার ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা মেধা তালিকায় উত্তীর্ণ হওয়া দুই শিক্ষার্থী চার বছর পার হলেও বৃত্তির টাকা পায়নি। তারা দুজন যমজ ভাই। ২০১৯ সালে ইবতেদায়ী সমাপনী পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে এক শিক্ষার্থী উপজেলায় প্রথম স্থান ও অন্যজন চতুর্থ স্থান দখল করে। দুই শিক্ষার্থীর পিতা একাধিকবার আবেদন করার পরও বৃত্তির টাকা পায়নি।
চকরিয়া উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালে আনোয়ারুল উলুম ফাজিল মাদ্রাসা থেকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল ইবনুল জাররাহ ও আবু দারদা। পরীক্ষার ফলাফলে ইবনুল জাররাহ চকরিয়া উপজেলায় সর্বোচ্চ ৫৬৭ নম্বর পেয়ে প্রথম ও আবু দারদা ৫৫১ নম্বর পেয়ে চতুর্থ হন।
দুই শিক্ষার্থীর পিতা চকরিয়া উপজেলার বদরখালীর বাসিন্দা আকতার কামাল বলেন, ‘আমার দুই যমজ ছেলে ২০১৯ সালে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় অংশ নেন। পরীক্ষার ফলাফলে চকরিয়া উপজেলায় একজন প্রথম ও অন্যজন চতুর্থ হয়। পরে ইবনুল জাররাহ চট্টগ্রাম সরকারি মুসলিম হাই স্কুল ও আবু দারদা শাহ ওয়ালি উল্লাহ ইনষ্টিটিউটে ভর্তি হন। বর্তমানে দুজন ৯ ম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত রয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘নিয়মানুযায়ী ভর্তি হওয়ার পর অধ্যয়নরত দুই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা অফিসে দুজনের পৃথক ব্যাংক হিসাব ও প্রয়োজনীয় তথ্যাদি প্রেরণ করা হয়। ৪ বছর পরও একাধিকবার যোগাযোগ করেও বৃত্তির টাকা পায়নি। এ ব্যাপারে আমি শিক্ষামন্ত্রীর হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) মো. মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘৪ বছর পরও বৃত্তির প্রাপ্য টাকা শিক্ষার্থী না পাওয়াটা দুঃখজনক। তবে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় পাস করার পর দুজন শিক্ষার্থী চট্টগ্রাম চলে গেলে, সেখানে শিক্ষা অফিসে যোগাযোগ করলে মনে করছি দুই শিক্ষার্থী তাদের বৃত্তির টাকা পাবে।’
পূর্বকোণ/পিআর/এসি