চট্টগ্রাম শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর, ২০২৪

কোটি টাকার অবৈধ সম্পদের খোঁজ মাদক ব্যবসায়ী আবদুর রহমানের

দুদকের মামলা

নিজস্ব প্রতিবেদক

১৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩ | ১২:১৩ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের আলোচিত মাদকব্যবসায়ী আবদুর রহমানের কোটি টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মামলাও দায়ের করা হয়েছে। গতকাল সোমবার দুপুরে দুদকের কক্সবাজার জেলা কার্যালয়ে অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের দায়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। দুদকের একই কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।

মামলায় তার বিরুদ্ধে ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ১৩ টাকার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন এবং ২৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করার অভিযোগ আনা হয়। আবদুর রহমান কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন গোদারবিল গ্রামের আলী আহমদ চেয়ারম্যানের ছেলে। তিনি কক্সবাজার জেলা বিএনপির কোষাধ্যক্ষ মোহাম্মদ আব্দুল্লাহ এর ছোট ভাই এবং টেকনাফ সদর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান আলী আহমদের ছেলে।

মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালে আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসার মাধ্যমে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে অনুসন্ধান শুরু করে দুদক। প্রাথমিক অনুসন্ধানে সত্যতা পাওয়ায় ২০১৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি তার বিরুদ্ধে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নির্দেশ দেয় দুদক। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ২৪ মার্চ মাদক মামলার আসামি হিসেবে কক্সবাজার জেলখানায় আটক থাকা অবস্থায় দুদকের সম্পদ বিবরণী ফরম গ্রহণ এবং সম্পদের হিসেব দাখিলের নির্দেশনা দেয়া হয়। পরবর্তীতে ২০১৯ সালের ১১ এপ্রিল দুদকের কাছে সম্পদের হিসাব দাখিল করেন আবদুর রহমান।

দুদক জানায়, দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে আবদুর রহমান ১ কোটি ৫৭ লাখ টাকার স্থাবর এবং ৮ লাখ টাকার অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য প্রদান করেন।   কিন্তু দুদকের অনুসন্ধানে নিজ ও তার স্ত্রীর নামে ১ কোটি ৫৯ লাখ ৯ হাজার ৭৯৫ টাকার স্থাবর এবং ২৯ লাখ টাকার অস্থাব সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পায়। অর্থাৎ তিনি ২৩ লাখ ৯ হাজার ৭৮৫ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেন।

অন্যদিকে, অনুসন্ধানে পরিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ আবদুর রহমান ও তার স্ত্রীর নামে সর্বমোট ২ কোটি ৪৪ লাখ ১ হাজার ৭৫৫ টাকার সম্পদ পায় দুদক। এরমধ্যে ১৬ লাখ টাকার ঋণ পাওয়া যায়। যা বাদ দিলে তার সম্পদের পরিমাণ দাঁড়ায় ১ কোটি ৮৮ লাখ ৪১ হাজার ৭৫৫ টাকা। অথচ ২০১৩-১৪ করর্বষ হতে ২০১৯-২০ করবর্ষ পর্যন্ত আবদুর রহমানের বৈধ ও গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায় সর্বমোট ৮৪ লাখ ৩৯ হাজার ৭৪২ টাকার। অর্থাৎ বৈধ আয়ের চেয়ে ১ কোটি ৪ লাখ ২ হাজার ১৩ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ বেশি পাওয়া যায় আবদুর রহমানের নামে।

মামলা দায়েরের বিষয়টি নিশ্চিত করে দুদকের সহকারী পরিচালক মো. রিয়াজ উদ্দিন বলেন, ‘গত ১২ সেপ্টেম্বর আবদুর রহমানের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের অনুমতি দেয় কমিশন। কমিশনের অনুমতিক্রমে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে।’

পূর্বকোণ/আরডি

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট