বিদেশ যাওয়ার ৮ মাসের মাথায় বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা যাওয়া চট্টগ্রামের রাউজানের শাহরিয়ার সাদমানকে (২৩) মারা যাওয়ার ৬দিন পর আমিরাত থেকে দেশে আনা হয়েছে।
শুক্রবার (৮ সেপ্টেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে মরদেহটি দেশে এসে পৌঁছায়। এ সময় তার গ্রামের বাড়ি নোয়াপাড়া ইউনিয়নের নিরামিশপাড়ায় আনা হলে সৃষ্টি হয় এক হৃদয় বিদারক দৃশ্যের। নিহতের স্বজন আর প্রতিবেশীদের কান্নায় ভারি হয় চারপাশ। একমাত্র ছেলেকে হারিয়ে নির্বাক বাবা-মা।
নিহত সাদনাম ওই এলাকার জানে আলমের ছেলে। একইদিন জুমার নামাজের পর সাদনামের নামাজে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করা হয়।
সাদমানের চাচা মুহাম্মদ কামাল জানান, ৮ মাস আগে বাবার সাথে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবিতে পাড়ি জমায় সাদমান। সেখানে বাবাকে মেনটেন্যান্স কাজে সহযোগিতা করত সে। ঘটনার দিন (২ সেপ্টেম্বর) সকালে কাজে গেলে স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ১০টার দিকে এসির কাজ শেষ করে বিল্ডিং থেকে নিচে নামার সময় টিউবলাইটের তার ঘাড়ে লেগে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জানাজার নামাজে নোয়াপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান মুহাম্মদ বাবুল মিয়া, উত্তর জেলা কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক সাজ্জাদ সেলিম, আওয়ামী লীগ নেতা জাফর আহমেদ, মনজুর হোসেন, শফিউল আলম, জাহাঙ্গীর সিকদার, সাবেক চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, নিহতের মামা নোয়াপাড়া ব্যবসায়ী কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ জসিম উদ্দিন, ইউপি সদস্য নুরুল ইসলাম, সেকান্দর হোসেন, আবদুল রশিদ, মাসুদ পারভেজ, মুহাম্মদ সোহেল, নোয়াপাড়া ব্যবসায়ী সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু বক্কর সওদাগর, শফিকুল ইসলাম মনু, ন্যাশনাল লাইফ ইন্সুরেন্স কোম্পানি দক্ষিণ রাউজান জোন প্রধান আবুল কাশেম হিরুসহ অসংখ্য আত্মীয়-স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও এলাকাবাসী উপস্থিত ছিলেন।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ