একমাসেও সমাধান হয়নি কাপ্তাই হ্রদে কচুরিপানার জটের। উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে প্রতিনিয়ত ভেসে আসছে কচুরিপানা। ঝাঁকে ঝাঁকে জড়ো হচ্ছে কাপ্তাই আপস্ট্রিম জেটিঘাটে। জটের ফলে কয়েক উপজেলার সাথে যোগাযোগে সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। তিন মিনিটের পথ পাড়ি দিতে লাগছে ৪-৫ ঘণ্টা। এতে পর্যটনসহ কয়েজ হাজার ব্যবসা-বাণিজ্যে ধস নামতে চলেছে। কাঠ ব্যবসায়ী লোকমান হাকিম বলেন, প্রতি বছর বর্ষা মৌসুম এলে আমাদের দুঃখের সীমা থাকে না। কচুরিপানার কারণে ব্যবসায় ধস নামে। কাপ্তাই রিভার গ্রিন ভ্যালি ম্যানেজার ইসমাইল বলেন, হ্রদে কচুরিপানাজটের ফলে কোন পর্যটক আসছে না। যার ফলে আমাদের পর্যটনেও ব্যাপক ধস নেমেছে। এদিকে, জেটিঘাটে প্রতি শনিবার সাপ্তাহিক হাট বসে। ব্যবসায়ীরা বিক্রির জন্য বিভিন্ন পসরা নিয়ে বসেন। তা কিনতে ও দেখতে কয়েক হাজার লোক হাটে জড়ো হয়। এতে দিনে কয়েক লাখ টাকার ব্যবসা হতো। বর্তমানে তাও বন্ধ রয়েছে। এ বিষয়ে কাপ্তাই ৪নং ইউপি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ বলেন, প্রতি বছর বর্ষা ও পাহাড়ি ঢলে কচুরিপানা এসে জেটিঘাটে জড়ো হয়। আমরা প্রশাসন ও জনগণের সার্বিক সহযোগিতা নিয়ে তা অপসারণ করে থাকি। এবারও আমি কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্র কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ করে তিনবার জট অপসারণ করেছি। এছাড়া রাঙামাটির সাংসদ দীপংকর তালুকদার ঘটনাস্থলে এসে জট পরিদর্শন করেছেন ও ব্যবস্থা নেয়ার জন্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানান তিনি।
পূর্বকোণ/এএইচ