আগামী ১ সেপ্টেম্বর রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালুর পরিকল্পনা নিয়ে জোর প্রস্তুতি চলছে দক্ষিণ ত্রিপুরার সীমান্তবর্তী মহকুমা সাব্রুমে। বুধবার (১৬ আগস্ট) দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা প্রশাসক (ডিএম) সাজু ওয়াহিদ সাব্রুমে স্থানীয় সাংবাদিকদের কাছে ১ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন চালুর এ তথ্য জানান। সীমান্তের ওপারের নির্ভরযোগ্য সূত্রে এ খবর পাওয়া গেছে।
সূত্র জানায়, ১ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন চালুর প্রস্তুতি নিয়ে বুধবার সাব্রুম নগর পঞ্চায়েত ভবনের কনফারেন্স হলে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিভাগের পদস্থ কর্মকর্তাদের সাথে বৈঠক করেন দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক। বৈঠকে ইমিগ্রেশন কার্যালয়ের কিছু সমস্যা নিয়ে আলোচনা করা হয়। পানি নিষ্কাশনে ড্রেনেজ ব্যবস্থা, বিদ্যুৎ, পানীয় জল, সীমানা প্রাচীরসহ সকল সমস্যা দ্রুত সমাধানের সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠকে সাব্রুম মহকুমা শাসক (এসডিএম) বিধান চন্দ্র রায়, বিএসএফের ৯৬ নম্বর ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট রাস পালসিং, ল্যান্ডপোর্ট ইমিগ্রেশন অথরিটির চেয়ারম্যান দেবাশীষ নন্দী, কাস্টম সুপারিনটেন্ডেন্ট প্রানেশ ধর, সাব্রুম নগর পঞ্চায়েতের চেয়ারপার্সন রমা পোদ্দার দেসহ মহকুমা প্রশাসনের পদস্থ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসক সাজু ওয়াহিদ সেখানকার সাংবাদিকদের বলেন, ‘১ সেপ্টেম্বর সাব্রুম-রামগড় স্থলবন্দরে ইমিগ্রেশন কার্যক্রম শুরু হবে। চালুর প্রস্তুতি দেখতে তিনি সাব্রুম পরির্দশনে এসেছেন। এখন কোন পণ্য আমদানি-রপ্তানি হবে না। শুধুমাত্র যাত্রী পারাপার কার্যক্রম চলবে। সাব্রুম ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে কিছু সমস্যা আছে। এগুলো জরুরিভিত্তিতে সমাধানের নির্দেশ দেয়া হয়েছে।’
বৈঠকের জেলা শাসক পদস্থ কর্মকর্তাদের নিয়ে সাব্রুমের অস্থায়ী আইসিপি (ইন্টিগ্রেটেড চেক পোন্ট) ও মৈত্রী সেতু সরেজমিনে পরিদর্শন করেন।
এদিকে, রামগড়-সাব্রুম স্থলবন্দরে ১ সেপ্টেম্বর ইমিগ্রেশন কার্যক্রম চালু সম্পর্কে দক্ষিণ ত্রিপুরার জেলা শাসকের বক্তব্যের ব্যাপারে খাগড়াছড়ির জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘ইমিগ্রেশন চালুর বিষয়ে সরকারি কোন চিঠি বা নির্দেশনা পাওয়া যায়নি।’ একই কথা বলেছেন ত্রিপুরার আগরতলায় অবস্থিত বাংলাদেশি সহকারী হাই কমিশনের এক কর্মকর্তা। ওই কর্মকর্তা বুধবার সন্ধ্যায় মুঠোফোনে এ প্রতিনিধিকে বলেন, ‘আজকে পর্যন্ত ইমিগ্রেশন চালুর ব্যাপারে সরকারি কোন চিঠি পাইনি।’
রামগড় স্থলবন্দরে ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী পরিচালক সঞ্জয় বারৈ বলেন, এখনও ইমিগ্রেশন চালুর দিন তারিখের কোন তথ্য নেই। তবে ইমিগ্রেশন (যাত্রী পারাপার) চালুর সকল প্রস্তুতি রয়েছে রামগড় ইমিগ্রেশন কার্যালয়ে। দুদেশের সরকারি পর্যায়ে সিদ্ধান্ত হলে যে কোন সময় কার্যক্রম চালু করা সম্ভব।
পূর্বকোণ/পিআর