পানি নেমে যাওয়ায় দুইদিন পর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। তবে এখনও বান্দরবানের সঙ্গে বন্ধ রয়েছে সড়ক যোগাযোগ।
আজ বৃহস্পতিবার (১০ আগস্ট) সকাল থেকে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
দোহাজারী হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খান মোহাম্মদ ইরফান বলেন, মহাসড়ক থেকে পানি নেমে যাওয়ায় চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। সড়কের কোথাও পানি নেই। সকাল থেকে স্বাভাবিকভাবে যানবাহন চলাচল করছে।
এদিকে মহাসড়ক থেকে বন্যার পানি নামলেও এখন বিস্তীর্ণ ফসলি জমি ও লোকালয় তলিয়ে আছে পানিতে। বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা উন্নতি হলেও বেশিরভাগ এলাকা থেকে পানি না নামায় বাড়িতে ফিরতে পারছে না লোকজন। পানিবন্দী মানুষ আশ্রয় নিয়েছে আশেপাশের বিভিন্ন আশ্রয়কেন্দ্রে।
জেলা, ত্রাণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের হিসাব মতে, সাতকানিয়ায় সাড়ে ২২ হাজার পরিবার, চন্দনাইশে ৫ হাজার, পটিয়ায় ১৬ হাজার ৫৯৫ পরিবার এবং লোহাগাড়ায় ৪ হাজার পরিবার বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
সপ্তাহখানেক আগ থেকে টানা বৃষ্টি ও পাহাড়ি ঢলে তলিয়ে যায় চট্টগ্রামের সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও লোহাগাড়া উপজেলা। চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের চন্দনাইশের হাশিমপুর ইউনিয়নের বড়পাড়া কসাইপাড়া থেকে সাতকানিয়ার কেরানী হাটে পানি উঠে যায়।
চন্দনাইশ কলেজ গেট এলাকা থেকে কেরানিহাট অংশে সড়কে পানি বাড়তে শুরু করলে সোমবার রাতে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়। পরে রাত ৩টার পর থেকে যান চলাচল কার্যত বন্ধ হয়ে যায়, তাতে দুর্ভোগে পড়েন বয়স্ক ও শিশুসহ অন্য যাত্রীরা।
সাতকানিয়া উপজেলার পরই পার্বত্য বান্দরবান জেলা। টানা বৃষ্টিতে সোমবার বান্দরবান জেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকাও পানিতে তলিয়ে যায়। বিভিন্ন এলাকার সঙ্গে বন্ধ হয়ে যায় সড়ক যোগাযোগ।
পূর্বকোণ/পিআর/এসি