চট্টগ্রামের রাউজানে বন্যার পানিতে ডুবে যাওয়া প্রজেক্ট থেকে নৌকায় তীরে ফেরার পথে ব্রিজে ধাক্কা খেয়ে হালদা নদীর শাখা খালে পড়ে নিখোঁজ হয়েছেন সাহেদ হোসেন বাবু (৩৫) নামের এক ব্যবসায়ী। ওই নৌকা থেকে ৫ জন পড়ে ৪ জন সাঁতরে তীরে উঠলেও সাঁতার না জানা ওই ব্যবসায়ী বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে যায়।
সোমবার (৭ আগস্ট) রাত সাড়ে ১০টায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত তাকে নানাভাবে উদ্ধারের তৎপরতা চালালেও উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। বন্যার পানিতে বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়ায় রাউজান ফায়ার সার্ভিস রাত ১০টায়ও ঘটনাস্থলে পৌঁছতে পারেনি।
নিখোঁজ সাহেদ উপজেলার উরকিরচর ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর উরকিরচর গ্রামের উজির আলী মিয়াজি বাড়ির মৃত এস. এম ইউছুফের বড় ছেলে।
উরকিরচর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) চেয়ারম্যান সৈয়দ আবদুল জব্বার সোহেল, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আলম, মহিউদ্দিন ইমনসহ স্থানীয় বাসিন্দা অনেকে জানান, সাহেদের বাড়ির অদূরে (আধা কিলোমিটারেরও কম দূরত্বে) তার বড় প্রজেক্ট রয়েছে। সেখানে মাছ, গরু, মহিষ লালন পালন হয়। প্রজেক্টটি রবিবার বন্যার পানিতে ডুবে যায়। সেটি দেখতে সোমবার সন্ধ্যায় কয়েকজনসহ ওই প্রজেক্টে যান সাহেদ। প্রজেক্ট থেকে সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে অপর ৪ জনসহ নৌকায় করে ফেরার পথে হালদা নদীর শাখা খাল বাড়িঘোনা খালের উপর নির্মিত লোহার ব্রিজের সাথে ধাক্কা লেগে পড়ে যান সাহেদসহ ৫ জনই। একপর্যায়ে ৪ জন সাঁতরে কূলে উঠতে পারলেও বন্যার পানির স্রোতে তলিয়ে যান ব্যবসায়ী সাহেদ। পরে বেঁচে ফেরা ৪ জনসহ স্থানীয় বাসিন্দারা তার খোঁজে রাতে এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত ওই খালের পাড়ে অবস্থান করছেন। কিন্তু তাকে পাওয়া যায়নি।’
রাউজান ফায়ার সার্ভিসের ইনচার্জ নজরুল ইসলাম ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে পূর্বকোণকে বলেন, ‘আমরা স্পটে যাচ্ছি। তবে সড়কের বিভিন্নস্থানে পানি বেশি থাকায় পৌঁছতে পারিনি এখনো (রাত ১০টায়)।’
রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, ঘটনাস্থলে আমাদের পুলিশ, নৌ-পুলিশ, হাটহাজারী থানার পুলিশ রয়েছে। এখনো ওই ব্যক্তিকে পাওয়া যায়নি। ফায়ার সার্ভিস আসতে দেরি হচ্ছে। ডুবুরি কাল আসতে পারবে বলে জানিয়েছে।
পূর্বকোণ/জাহেদ/জেইউ/পারভেজ