কারও বাবা নেই। কেউ হারিয়েছে মা। তবে পড়াশোনা ছাড়তে হয়নি বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন পরিচালিত ‘সম্প্রীতির অনাথালয়ে’ বেড়ে উঠা এই কিশোরদের। রামুর ঈদগড় এলাকায় দুর্গম পাহাড়ে থেকেও এবারের এসএসসি পরীক্ষায় কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে তারা। তাক লাগিয়ে দিয়েছে সবাইকে।
সংশ্লিষ্টরা জানান, ‘সম্প্রীতির অনাথালয়ে’ বেড়ে উঠা ১১ কিশোর-কিশোরী এবারের এসএসসি পরীক্ষায় নাইক্ষ্যংছড়ির বাইশারি হাই স্কুল থেকে অংশ নেন। এরমধ্যে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে ১ জন, ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৪ জন এবং মানবিক বিভাগ থেকে ৬ জন এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিলেন।
গতকাল শুক্রবার এসএসসির ফল প্রকাশিত হয়। সেখানে ‘সম্প্রীতির অনাথালয়ে’ বেড়ে উঠা ১১ কিশোর-কিশোরী- মংবাউ মারমা, হ্লাচিংমং মারমা, উচিমং মারমা, এথোওয়াইচিং মারমা, ঝাড়া ত্রিপুরা, তাইওয়াই ম্রো, মেহ্লাপ্রু মারমা, মাশৈচিং মারমা, তিশামনি চাকমা, কনিতা চাকমা এবং শান্তিজ্যোতি চাকমা কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেন।
বিদ্যানন্দ পরিচালনা বোর্ডের সদস্য জামাল উদ্দিন জানান, তিনবেলা পেট ভরে খাবারের নিশ্চয়তা ছিল না বলে অভিভাবকরা এই অনাথ শিশুদের আমাদের কাছে রেখে যান। শিক্ষা ছিল তাদের জন্য এক বিলাসিতার নাম। কিন্তু বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন এই অনাথ শিশুদের জন্য খাবারের ব্যবস্থার পাশাপাশি পড়াশোনার পরিবেশ তৈরি করেছে।
তিনি বলেন, আজ আমাদের বিজয়ের দিন। উদযাপনের দিন। আমাদের অনাথালয় থেকে ১১ জন কিশোর-কিশোরী এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল। শুক্রবার প্রকাশিত ফলাফলে তারা সবাই কৃতিত্বপূর্ণ ফল অর্জন করেছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ