বৃটিশ আমলে নির্মিত জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতুকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রেল চলাচলের জন্য উপযোগী করতে সংস্কার করছে রেলওয়ে।
এ সংস্কার কাজের জন্য ১ আগস্ট থেকে ৩ মাস বন্ধ থাকবে কালুরঘাট সেতু। এ সময় নদী পারাপারে ফেরি ব্যবহার করা যাবে। সড়ক ও জনপথ বিভাগ গত ১৯ জুলাই ফেরি সার্ভিসের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেছে।
রেলওয়ের (পূর্ব) প্রধান প্রকৌশলী আবু জাফর মিয়া পূর্বকোণকে বলেন, সেতুর সংস্কার চলাকালীন সময়ে সব ধরনের যানবাহন চলাচল বন্ধের বিষয়ে নোটিশ জারি করা হয়েছে। নোটিশে তিনমাস বন্ধের কথা বলা হলেও যতদ্রুত সম্ভব অর্থাৎ সেপ্টেম্বর মাসের মধ্যে খুলে দেওয়ার চেষ্টা করব।
এ বছর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার রুটে নতুন রেল চালু করতে যাচ্ছে রেলওয়ে। তবে জরাজীর্ণ কালুরঘাট সেতু ভারী ইঞ্জিন বহন করতে সক্ষম না হওয়ায় সেতুটি সংস্কার করা জরুরি হয়ে ওঠে। বুয়েট পরামর্শক দলের পরামর্শে সেতুটি সংস্কার কাজ করছে রেলওয়ে।
সওজ চট্টগ্রাম অঞ্চলের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা জানান, সেতু এখনও বন্ধ না করায় ফেরি দিয়ে কোনো যানবাহন এখনও পারাপার হয়নি। দুটি ফেরি উভয়মুখী চলাচল করবে এবং একটি ফেরি স্ট্যান্ডবাই থাকবে।
তবে প্রাথমিক পর্যায়ে ফেরি চলানোর জন্য কোনো ইজারাদার নিয়োগ দেওয়া হয়নি। সওজের পক্ষ থেকে তা চালানো হবে।
সওজ জানিয়েছে, ফেরি পারাপারে ৫৬৫ টাকা টোল দিতে হবে ট্রেইলারকে। বড় ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান ৪৫০ টাকা, মাঝারি ট্রাক ২২৫ টাকা, মিনি ট্রাকে ১৭০ টাকা দিতে হবে। বড় বাস ২০৫ টাকা, মিনি বাস ও কোস্টার ১১৫ টাকা, মাইক্রোবাস, পিকআপ, জিপ ৯০ টাকা, কার ৫৫ টাকা, ট্রাক্টর, পাওয়ার টিলার ১৩৫ টাকা, তিন চাকার অটোরিকশা ২৫ টাকা, মোটর সাইকেল ১০ টাকা এবং রিক্সা, ভ্যান, বাইসাইকেলকে ৫ টাকা দিতে হবে।
নগরীর সঙ্গে বোয়ালখালী ও পটিয়া উপজেলার একাংশের যোগাযোগের মাধ্যম এই কালুরঘাট সেতু। সড়ক পথের সব ধরনের যানবাহনের পাশাপাশি এ সেতু দিয়ে ট্রেনও চলে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ