চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়ার স্ত্রী অভি বড়ুয়াকে নিয়োগ দিতে নিয়োগ বোর্ডের করা সুপারিশ বাতিল করেছে সিন্ডিকেট। বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫৪৪তম সিন্ডিকেটে নিয়োগের সুপারিশ বাতিল করা হয়। সিন্ডিকেট সভা শেষে শুক্রবার (১৪ জুলাই) রাত ১০টার দিকে একজন সিন্ডিকেট সদস্য বিষয়টি জানিয়েছেন।
এর আগে গত বছর ২৫ জানুয়ারি ও ২৪ আগস্ট পালি বিভাগে প্রভাষক পদে আলাদা দুটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে কর্তৃপক্ষ। দুটিতেই সহকারী প্রক্টরের স্ত্রী অভি বড়ুয়া আবেদন করেছিলেন। তবে তিনি স্নাতকে প্রথম শ্রেণিতে প্রথম না হয়েও আবেদন পত্রে উল্লেখ করেছিলেন, যা সত্য নয়। এ ছাড়া বিজ্ঞাপনে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিকে প্রাপ্ত নম্বরের শতকরা হিসাব উল্লেখ করার কথা থাকলেও তিনি তা করেননি। এসব কারণে তার আবেদন বাতিল করে আবেদনপত্র যাচাই-বাছাই কমিটি।
বিষয়টি জানাজানি হওয়ার পর অভি বড়ুয়া বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে নিজের ভুল স্বীকার করেন। গত বছরের ৬ নভেম্বর তিনি সংশোধনী আবেদনপত্র জমা দেন। তবে আবেদনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় সে আবেদনপত্র গ্রহণ করেনি নিয়োগের যাচাই বাছাই কমিটি। কমিটির এ সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে অভি বড়ুয়াকে সাক্ষাৎকারে ডাকে কর্তৃপক্ষ। গত ১৩ মার্চ এ সাক্ষাৎকার নেয় নিয়োগের নির্বাচনী বোর্ড। ওই বোর্ডে পালি বিভাগের সভাপতি শাসনান্দ বড়ুয়ার আপত্তি সত্ত্বেও অভি বড়ুয়াকে সবার আগে নিয়োগের সুপারিশ করা হয়। ওই সময় সহকারী প্রক্টর অরুপ বড়ুয়ার বিরুদ্ধে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় প্রভাব বিস্তারের অভিযোগ উঠে।
জানতে চাইলে পালি বিভাগের সভাপতি শাসনানন্দ বড়ুয়া বলেন, ‘বিজ্ঞপ্তির শর্ত পূরণ না করা, সাক্ষাৎকারে প্রশ্নের উত্তর দিতে না পারার কারণে তিনি অভি বড়ুয়াকে নিয়োগ না দেওয়ার পক্ষে ছিলেন।’
নিয়োগের এ সুপারিশ বাতিলের কারণ জানতে চাইলে সিন্ডিকেটের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আবেদনপত্রে ত্রুটিপূর্ণ তথ্য দেওয়া, বিজ্ঞাপনের শর্ত পূরণ না করা ও পালি বিভাগের সভাপতির আপত্তির কারণে অভি বড়ুয়ার নিয়োগের সুপারিশের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। কয়েক দিনের মধ্যে সভার কার্যবিবরণী তৈরি হবে।’
এসব বিষয়ে জানতে চবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. শিরীণ আখতারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে কোনো সাড়া মেলেনি।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ