চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চেংখালী স্লুইসগেট ধসের এক বছর

হাটহাজারীতে প্রতিদিন পানি ঢুকছে লোকালয়ে, হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী

খোরশেদ আলম শিমুল, হাটহাজারী

১৩ জুলাই, ২০২৩ | ১১:৪৭ পূর্বাহ্ণ

হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের অংকুরীঘোনা বেড়িবাঁধ সড়কস্থ চেংখালী স্লুইসগেট ধসে পড়ার ১ বছরের বেশি সময় পার হলেও এখনও সংস্কার বা এর পাশে নতুন স্লুইসগেট স্থাপনের কোন উদ্যোগ নেইনি সংশ্লিষ্ট প্রশাসন। পানি উন্নয়ন বোর্ডের উদাসীনতার কারণে স্লূইসগেটটি বিলীন হয়ে গেছে। এতে করে ধসে পড়ে নদীর দুই পাশের চাষাবাদের জমি বিলীন হয়ে গেছে। বেড়িবাঁধ ভেঙে দুই পাশে লোক ও যানচলাচল বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কয়েক মাইল পাড়ি দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে পথচারীদের। তাছাড়া প্রতিদিন হালদা নদীর প্রবল জোয়ারে চেংখালী শাখা খালের দুই পাশের গড়দুয়ারা ও পূর্ব মেখল ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষ পানিবন্দী ও শত শত একর জমিতে চাষাবাদ করতে পারছে না এলাকার কৃষকরা।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, হাটহাজারী উপজেলার গড়দুয়ারা ও রাউজান উপজেলার পশ্চিম গহিরা অংকুরীঘোনা বেড়িবাঁধ সড়কটি ৮০ দশকে প্রতিষ্ঠিত হয়। বেড়িবাঁধ সড়কটি স্লুইসগেট হয়ে চট্টগ্রাম-রাঙামাটি মহাসড়কের সত্তারঘাট হতে উপজেলার গড়দুয়ারা, মেখল ইউনিয়নের হাজার লোকজন যাতায়াতের সহজ পথ। বর্তমানে বেড়িবাঁধ ও স্লুইসগেট ভেঙে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। এতে করে ভাঙা স্লুইসগেটি বিশাল খালে পরিণত হওয়ায় প্রতিদিন জোয়ারের পানি লোকালয়ে ঢুকে পড়ায় শত শত পরিবারের শিশু, বৃদ্ধ, অসুস্থ লোকজন চলাচল করতে পারছে না।

 

পশ্চিম গড়দুয়ারা এলাকার সমাজসেবক ও কৃষক ডা. শামসুল হক, নুর হোসেন ও পূর্ব মেখল এলাকার কৃষক সোলাইমান ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, স্লইসগেট ধসে ও বেড়িবাঁধ ভেঙে পড়ার এক বছরের বেশি সময় অতিবাহিত হওয়ায় ভাঙা স্থানে স্লইসগেট স্থাপন না করায় খালটির দুই পাশে ভায়াবহ আকারে ভাঙনের কারণে আমাদের চাষাবাদের জমি ও বাড়ি ঘর বিলীন হয়ে যাচ্ছে। দ্রুত স্লইসগেটি সংস্কার বা পুনর্নির্মান না করলে পাশের নূরানী মাদ্রাসা চেংখালী খালে যেকোনো সময় বিলীন হয়ে যেতে পারে। মাদ্রাসার প্রায় দুই হাজার শিক্ষার্থীর পাঠ বন্ধ হয়ে যেতে পারে।

 

গড়দুয়ারা ও মেখল ইউপি চেয়ারম্যান যথাক্রমে সরওয়ার মোর্শেদ তালুকদার ও সালাউদ্দীন চৌধুরী পূর্বকোণকে জানান, স্লইসগেটটি দুই ইউনিয়নের জন্য অতিব প্রয়োজনীয়। তাই দ্রুত স্লইসগেটি সংস্কারের দাবি জানান তারা।

 

চট্টগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী, তয়ন কুমার ত্রিপুরা বলেন, ধসে পড়া স্লুইসগেটসহ বেড়িবাঁধটি দ্রুত সংস্কারের জন্য পরির্দশন করে সার্ভে করা হয়েছে। সার্ভে রিপোর্টটি মন্ত্রণালয়ে প্রেরণ করা হয়েছে।

 

প্রসঙ্গত, গত ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে হঠাৎ স্লুইস গেটের মাঝখানের মাঠি ধসে পড়ে। এরপর পর্যয়াক্রমে দুইপাশে মাটি সরে গেলে বেড়িবাঁধটি ভেঙে যায়। এতে উপজেলার মেখল ও গড়দুয়ারা ইউনিয়নের সাথে সড়ক যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। জনদুর্ভোগে পড়েছে মেখল, গড়দুয়ারা ইউনিয়নের প্রায় সহস্রাধিক পরিবার। বর্তমানে বাঁধটি একেবারেই ধসে গিয়ে হালদার জোয়ারের পানি সরাসরি ঢুকে পড়ছে এলাকায়।

পূর্বকোণ/মাহমুদ

শেয়ার করুন