চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

চকরিয়ায় ব্যক্তিখাতে লক্ষ্যমাত্রার বেশি, সংস্থায় নামমাত্র কর আদায়

এম জাহেদ চৌধুরী

৭ জুলাই, ২০২৩ | ১২:১৩ পূর্বাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় ২০২২-২৩ অর্থবছরে ব্যক্তিখাত থেকে লক্ষ্যমাত্রার বেশি ভূমি উন্নয়ন কর আদায় হলেও সংস্থা খাত থেকে আদায় হয়েছে নামমাত্র। ব্যক্তিখাতে ১ কোটি ৩৮ লাখ ৫৮ হাজার ২৩০ টাকা লক্ষ্যমাত্রার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ কোটি ৩৯ লাখ ৪৩ হাজার ৯৯৯ টাকা। সুদাসলে আদায় হয়েছে ১০৯.১৩ শতাংশ। সংস্থা খাত থেকে আদায় হয়েছে নামমাত্র ৪.১৭ শতাংশ। এই খাতে ২৪ কোটি ১ লাখ ৭৬ হাজার ৮৯৬ টাকার বিপরীতে আদায় হয়েছে ১ কোটি ২১ হাজার ২৭০ টাকা।

বুধবার (৫ জুলাই) এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন চকরিয়া উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান।

তিনি বলেন, ‘ব্যক্তি ও সংস্থায় ভূমি উন্নয়ন কর আদায়ে বৈপরীত্যের পেছনে দায়ী উপকূলীয় বনবিভাগের বিশাল অংকের কর বকেয়া রাখা। তারা কর আদায় করছে না ৪৭ বছর ধরে। তাদের বকেয়া করের পরিমাণ কিছুটা কমেছে ৪ হাজার একর জমি বনমন্ত্রণালয় থেকে ভূমি মন্ত্রণালয়ে ন্যস্ত হওয়ায়। উপকূলীয় বনবিভাগের বর্তমানে কর বকেয়া রয়েছে প্রায় ২২ কোটি ৭০ লাখ টাকা। এই কর আদায় না করায় তাদের বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলাও দায়ের করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘নতুন সৃষ্ট একটিসহ পাঁচটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের মাধ্যমে কর আদায় করা হয়েছে। একটি পৌরসভা ও ১৮ টি ইউনিয়ন নিয়ে চকরিয়া উপজেলার প্রতিটি ইউনিয়নের প্রস্তাবিত থাকা ভূমি অফিস নির্মাণপূর্বক চালু হলে কর আদায়ে আরো গতি আসতো। পাশাপাশি কর আদায়ের পরিমাণও বাড়তো।’

চকরিয়ায় চলতি বছর খুটাখালী ইউনিয়ন ভূমি অফিস চালু করা হয়েছে। পূর্ব থেকে চালু আছে, চিরিঙ্গা, কাকারা, হারবাং ও ভেওলা ইউনিয়ন ভূমি অফিস। সাহারবিল ইউনিয়ন ভূমি অফিস নির্মাণের লক্ষ্যে খাস জমি শনাক্তপূর্বক প্রস্তাবনা মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হলেও ওই জমি জনৈক প্রভাবশালী ব্যক্তি জবরদখল করে স্থাপনা নির্মাণ করেছেন।

এ ব্যাপারে সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাত উজ জামান বলেন, ‘দখলকারীর বিরুদ্ধে অচিরেই আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

পূর্বকোণ/এএইচ

শেয়ার করুন