চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

স্ত্রীকে নিয়ে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় স্বামীকে ছুরিকাঘাতে হত্যা

চকরিয়া-পেকুয়া প্রতিনিধি

২৫ জুন, ২০২৩ | ২:১৯ অপরাহ্ণ

কক্সবাজারের চকরিয়ায় স্ত্রীকে নিয়ে উত্যক্তের প্রতিবাদ করায় আনোয়ার হোসেন (৪০) নামে এক ব্যক্তিকে ছুরিকাঘাতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে।

 

শনিবার (২৪ জুন) রাত সাড়ে ১২টায় উপজেলার পশ্চিম বড় ভেওলা ইউনিয়নের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের দরবেশকাটা স্টেশনে এ ঘটনা ঘটে। নিহত আনোয়ার হোসেন ওই ওয়ার্ডের উত্তর পাড়ার আবু তাহের লেদুর ছেলে।

 

স্থানীয়রা জানান, প্রায় ছয় মাস আগে নাসির উদ্দিন নামে একব্যক্তি আনোয়ার হোসেনের স্ত্রীর সঙ্গে তুচ্ছ বিষয় নিয়ে বাকবিতণ্ডার জেরে হাতে কামড় দেয়। এ বিষয় নিয়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য সুলতান মাহমুদ সালিশ বিচারের মাধ্যমে নাসির উদ্দিনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। এই জরিমানার টাকাও পরিশোধ করে নাসির উদ্দিন।

 

কয়েকজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, গতকাল শনিবার দিবাগত রাত সাড়ে ১২টার দিকে দরবেশকাটার একটি কামারের দোকানের সামনে বসে কয়েকজন আড্ডা দিচ্ছিলো। ওই সময় মো. আয়াজ উদ্দিন নামে এক যুবক আনোয়ার হোসেনকে ‘এক কামড়ে ১০ হাজার টাকা’ উস্কানিমূলক কথা বলে ক্ষ্যাপায় ও বারবার টিটকারি করে। এর প্রতিবাদ করে আনোয়ার। এতে উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে আয়াজ কামারের দোকান থেকে একটি ছুরি এনে আনোয়ারকে পরপর ছুরিকাঘাত করে। ছুরিকাহত আনোয়ারকে উপস্থিত লোকজন স্থানীয় পল্লী চিকিৎসকের কাছে নিয়ে গেলে তিনি প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ বন্ধের পর সরকারি হাসপাতালে নেওয়ার পরমর্শ দেন। পরে তাকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক পরীক্ষা করে জানান হাসপাতালে আনার আগেই আনোয়ারের মৃত্যু হয়েছে।

 

মৃত্যুর খবর জানাজানি হলে আয়াজ উদ্দিন এলাকা ছেড়ে আত্মগোপনে চলে যায়।

 

নিহত আনোয়ার হোসেনের স্ত্রী ইয়াসমিন আক্তার বলেন, ‘অনেক আগে আমার হাতে কামড় দেয়ার বিচারের বিষয় নিয়ে অপমানমূলক কথার প্রতিবাদ করায় আমার স্বামীকে হত্যা করেছে আয়াজ।’

 

চকরিয়া থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মানিক কুমার বলেন, মরদেহের প্রাথমিক সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশের কোমরের উপরে কিডনির পাশে দুটি ছুরিকাঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। এছাড়া মাথায়ও আঘাত রয়েছে।

 

চকরিয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবদুল জব্বার বলেন, ময়নাতদন্তের জন্য মরদেহ কক্সবাজার সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা করছি। রবিবার (২৫ জুন) দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘটনাটি নিয়ে মামলা হয়নি।

পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ

শেয়ার করুন