চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

১০ হাটে ওঠার অপেক্ষায় ৪৭ হাজার ১৭৬ পশু

বোয়ালখালীতে চাহিদার বেশি পশুর সমাহার

পূজন সেন, বোয়ালখালী

১৮ জুন, ২০২৩ | ৮:২৮ অপরাহ্ণ

আসন্ন কোরবানির ঈদ সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন উপজেলার খামার মালিক ও কৃষকেরা। গবাদিপশু বিক্রির জন্য প্রস্তুত তারা। খামার থেকেই কোরবানির পশু বিক্রি করা হবে বলে খামার মালিকরা জানিয়েছেন। এছাড়া মৌসুমী ব্যবসায়ীরাও বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে বিক্রির জন্য আনছেন গরু। এবার উপজেলার ১০টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হবে।

উপজেলা প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর জানায়, বোয়ালখালীতে এবার কোরবানির জন্য গবাদি পশু উৎপাদন হয়েছে ৪৭ হাজার ১৭৬টি। এর মধ্যে গরু ২৭ হাজার ৬৩৮টি, মহিষ ৬ হাজার ৪৯টি ও ছাগল-ভেড়া ১৩ হাজার ৪৮৯টি। বোয়ালখালীতে চাহিদা রয়েছে ৩৭ হাজার ২৩৮টি। গত বছরের তুলনায় প্রায় ১০ হাজার গবাদিপশু বাড়তি উৎপাদন করেছেন খামারিরা। উপজেলায় ৫১২ জন খামারি রয়েছেন।

এদের মধ্যে সর্বোচ্চ গবাদি পশু উৎপাদন করেছে ম্যাপ ফার্মিং লিমিটেড, বেঙ্গুরা পঞ্চমা এগ্রো ও তাজওয়ার ক্যাটেল রাঞ্চ ডেইরি ফার্ম। প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর এ বছর বোয়ালখালী উপজেলায় গবাদি পশু নিরাপদ হৃষ্ট-পুষ্টকরণ বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়েছেন। এতে প্রশিক্ষণার্থী ছিলেন ৮৭৫ জন। উপজেলার ১০টি হাটে কোরবানির পশু বিক্রি হবে জানিয়ে উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা. সেতু ভূষণ দাশ বলেন, হাটে ভেটেরিনারি মেডিক্যাল টিম কোরবানিদাতাদের সুস্থ পশু ক্রয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করবেন। তিনি জানান, বোয়ালখালীতে লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে এবার বেশি কোরবানির গবাদিপশু উৎপাদন হয়েছে। খামারিদের পাশাপাশি মৌসুমী ব্যবসায়ী রয়েছেন প্রায় ৩৫ জন। তারাও কোরবানির ঈদ উপলক্ষে বিভিন্ন জেলা-উপজেলা থেকে গরু নিয়ে আসছেন।

সারোয়াতলী ইউনিয়নের খিতাপচর গ্রামের হক এগ্রো ফার্মের স্বত্বাধিকারী মিনারুল হক মিন্টু জানান, এ বছর ছোট ও মাঝারি সাইজের দেশীয় জাতের ২৫টি গরু বিক্রির জন্য প্রস্তুত করেছেন তিনি। প্রতিটি গরু ৫৬ হাজার টাকা থেকে ৯০ হাজার টাকায় বিক্রি করবেন। বাজার ভালো থাকলে লাভের আশা করছেন তিনি।

কানুনগোপাড়া সড়কের বটতল এলাকার মদিনা এগ্রো ফার্মের মালিক আবু তৈয়ব জানান, ১ লাখ থেকে ৩ লাখ টাকা দামের গরু রয়েছে তার খামারে। তিনি ২৮টি বড় গরু প্রস্তুত করেছেন বিক্রির জন্য।

 

পূর্বকোণ/সাফা/পারভেজ

শেয়ার করুন