চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

ফেঁসে যাচ্ছেন এসআই সুমন

ইমাম হোসাইন রাজু

১৩ জুন, ২০২৩ | ১১:৪৫ পূর্বাহ্ণ

পুলিশের উপ-পরিদর্শক (এসআই) সুমন কুমার দে। কক্সবাজারের এ বাসিন্দা বর্তমানে কর্মরত রয়েছেন রাঙ্গুনিয়া থানায়। পুলিশের চাকরি গ্রহণের পর এ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ ওঠে। পরবর্তীতে অনুসন্ধানে নামে দুদক। শেষ পর্যন্ত এ পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ইতোমধ্যে তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে সংস্থাটি।

 

জানা যায়, দীর্ঘ বছর চট্টগ্রাম নগরীর বিভিন্ন থানায় এবং বোয়ালখালী ও রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত ছিলেন কক্সবাজারের এ বাসিন্দা। পরবর্তীতে গাজীপুর শিল্প পুলিশে কর্মরত থাকার পর ফের চট্টগ্রাম রেঞ্জে বদলি হয়ে এসেছেন তিনি। সুমন কুমার দে কক্সবাজার জেলার মহেশখালী থানাধীন বড় মহেশখালীর ননী গোপাল দে’র ছেলে। বর্তমানে তিনি রাঙ্গুনিয়া থানায় কর্মরত রয়েছেন।

 

দুদক সূত্রে জানা যায়, প্রধান কার্যালয়ে পুলিশ সদস্য সুমন কুমার দে’র বিরুদ্ধে অভিযোগ পাওয়ার পর ২০১৭ সালে অনুসন্ধানে নামে দুর্নীতি দমন কমিশন। পরবর্তীতে প্রাথমিক পর্যায়ে তার বিরুদ্ধে সম্পদের তথ্য পাওয়ায় ২০১৮ সালে সম্পদ বিবরণী নোটিশ দাখিল করে দুদক। পরবর্তীতে পুলিশের এসআই সুমন কুমার দে দুদকে দাখিলকৃত সম্পদ বিবরণীতে নিজ নামে ৩৬ লাখ ৫৪ হাজার ২৭০ টাকার স্থাবর এবং ১৮ লাখ ৩৮ হাজার ৩৭৯ টাকার অস্থাবর সম্পদসহ সর্বমোট ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের ঘোষণা প্রদান করেন। এছাড়াও আয়কর নথি অনুযায়ী সুমন কুমার দে ৪ লাখ ৯২ হাজার ৮০ টাকা পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয় করেছেন বলে উল্লেখ করেন। অর্থাৎ পারিবারিক ও অন্যান্য ব্যয়সহ তার মোট সম্পদ অর্জনের পরিমাণ দাঁড়ায় ৫৯ লাখ ৮৪ হাজার ৭২৯ টাকা।

 

দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে, সুমন কুমার দে ২০১৭ সালের ২৮ ডিসেম্বর ডেল্টা ব্রাক হাউজিং ফাইনান্স কর্পোরেশন লিমিটেড (ডিবিএইচ) থেকে ১৫ লাখ টাকার ঋণ গ্রহণ করেন। এরমধ্যে ২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি ৩ হাজার ৭৮৯ টাকা এবং ২০১৮ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারিতে ৩ হাজার ৮১৯ টাতা কিস্তিতে ঋণ পরিশোধ করেন তিনি। এছাড়াও তার নামে ১৪ লাখ ৮৮ হাজার ৫৪৩ টাকার ঋণ থাকার প্রমাণ পাওয়া যায়। অর্থাৎ সুমন কুমার দে’র ৫৪ লাখ ৯২ হাজার ৬৪৯ টাকার সম্পদ অর্জনের বিপরীতে ঋণসহ সর্বমোট ৪২ লাখ ৯৩ হাজার ৬৪৬ টাকার গ্রহণযোগ্য আয় পাওয়া যায়। বাকি ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকা আয়ের উৎসের কোন দালিলিক কাগজপত্র পাওয়া যায়নি। এক্ষেত্রে সুমন কুমার দে ১৬ লাখ ৯১ হাজার ৮৩ টাকার সম্পদ তার জ্ঞাত আয়ের উৎসের সাথে অসংগতিপূর্ণভাবে অর্জনপূর্বক ভোগ দখলে রেখেছেন বলে দুদকের অনুসন্ধানে ওঠে আসে।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুদকের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘পুলিশ সদস্য সুমন কুমার দে’র নামে অবৈধ সম্পদ অর্জনের প্রমাণ পাওয়ায় দুদক তার বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছে। কয়েকদিনের মধ্যেই তার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হবে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে কমিশনের অনুমোদন মিলেছে।’

পূর্বকোণ/পিআর 

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট