কক্সবাজারের টেকনাফে অপহরণের পর খুনের শিকার তিন বন্ধুর মরদেহ আগুন দিয়ে পুড়ে ফেলার চেষ্টা করেছিল অপহরণকারীরা। গ্রেপ্তার দুই অপহরণকারীর স্বীকারোক্তি বরাত দিয়ে এই তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
এর আগে বুধবার (২৪ মে) টেকনাফ হাবিবছড়া গহীন পাহাড় থেকে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তারকৃতরা হল- ছৈয়দ হোসন ওরফে সোনালী ডাকাত ও এমরুল।
এই ঘটনা নিয়ে বৃহস্পতিবার (২৫ মে) র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন এসব তথ্য জানান অধিনায়ক লে. কর্নেল সাইফুল ইসলাম সুমন।
তিনি জানান, তারা তিন বন্ধু মিলে টেকনাফ পাত্রী দেখতে গেলে গাড়ি থামিয়ে তাদের অপহরণ করা হয়। তাদের পরিবারের অভিযোগ পেয়ে অভিযানে নামে র্যাব। তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় দুইজনকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর জিজ্ঞাসাবাদে তাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী তাদের সাথে নিয়ে টেকনাফ দমদমিয়া এলাকার গহীন পাহাড় থেকে তিন বন্ধুর মরদেহগুলো উদ্ধার করা হয়। তিন বন্ধুর মরদেহ নিশ্চিহ্ন করতে ডাকাতদল আগুন ধরিয়ে দেয়।
তিনি আরও জানান, মরদেহগুলো যেখান থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সেখানে মানুষের সমাগম নেই। ডাকাত দলের লোকজন বারবার সিম পরিবর্তন করার কারণে তাদের শনাক্ত করতে একটু সময় লেগেছে।
গ্রেপ্তার দুইজন প্রাথমিকভাবে স্বীকার করে, তারা এই কাজে দীর্ঘদিন ধরে জড়িত। বিত্তশালীদের টার্গেট করে এসব অপহরণ করত তারা। দিনে এই চক্রের সদস্যরা লোকালয়ে এসে সাধারণ মানুষের ছদ্মবেশ ধরে থাকত। রাতে পাহাড়ে গিয়ে তাদের নির্যাতন করত। যারা টাকা দিতে ব্যর্থ হয় তাদের মাটির মধ্যে পুঁতে রাখা হত।
পূর্বকোণ/জেইউ/এএইচ