চট্টগ্রামের বাঁশখালী গণ্ডামারায় ১৩২০ মেগাওয়াট এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে পরীক্ষামূলক ভাবে সরবরাহ শুরু হয়েছে।
বুধবার (২৪ মে) দুপুর ২টা থেকে এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের (কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ) ১ নম্বর ইউনিট থেকে ১ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু করে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২০ মেগাওয়াটে উন্নীত করা হয়েছে। এ বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে রাতে পিকওয়ার সর্বোচ্চ ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে (পিজিসিবি) পাওয়ার গ্রিড কোম্পানী অব বাংলাদেশ।
বাঁশখালী গণ্ডামারা এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টের উপপরিচালক (ইলেকট্রিক্যাল) প্রকৌশলী মো. ফয়জুর রহমান বলেন, দুপুর ২টা থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়েছে। ধীরে ধীরে উৎপাদন ও সরবরাহ বাড়ছে। রাতে পিকওয়ারে ২০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ নেবে পিজিসিবি।
তিনি আরও বলেন, গতকাল শুরু থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ১২০ মেগাওয়াট উন্নীত করা হয়েছে। ১ নম্বর ইউনিট থেকে জাতীয় গ্রিডে ৫০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ দিতে সক্ষম এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। বৃহস্পতিবারও দুপুর থেকে বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে শুরু থেকে উন্নীত কাজ চলমান থাকবে।
এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণে প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নির্মাণে যৌথভাবে বিনিয়োগ করেন। দেশের বৃহত্তম শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ ও চীনা প্রতিষ্ঠান সেপকো-এইচটিজি। এই প্রকল্পের ৭০ শতাংশ মালিকানা এস আলম গ্রুপের ছয়টি প্রতিষ্ঠান। অবশিষ্ট ৩০ শতাংশের মধ্যে সেপকো ২০ শতাংশ এবং চীনের আরেক প্রতিষ্ঠান এইচটিজি ১০ শতাংশের মালিক। এটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎ প্রকল্প হলেও সুপার ক্রিটিক্যাল প্রযুক্তির কারণে পরিবেশ দূষণের আশঙ্কা নেই। এই প্রযুক্তিতে কম কয়লা পুড়িয়ে বেশি বিদ্যুৎ উৎপাদন করা যাবে। বাংলাদেশে শতভাগ বিদ্যুতায়ন ও শিল্পায়নের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলে বিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা যায়।
উল্লেখ্য যে, গত জুন মাসে পূর্ণমাত্রায় এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টে বাণিজ্যিক উৎপাদনে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছিল কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এসএসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট। কিন্তু আমদানি করা কয়লা বোঝাই জাহাজ জেটিতে পৌঁছাতে দেরি হওয়ায় উৎপাদন পিছিয়ে যায়। ২০২৩ সালে ২৬ ফেব্রুয়ারি বাঁশখালী গণ্ডামারায় ১৩২০ মেগাওয়াট এসএস পাওয়ার প্ল্যান্ট পরিদর্শন করেন বিদ্যুৎ জ্বালানী ও খনিজ সম্পদবিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী বীরবিক্রম। কাজের অগ্রগতি দেখার পর পুরোদমে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি উৎপাদন সক্ষমতা ৩০ হাজার মেগাওয়াট ছাড়িয়ে যাবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন।
গত ১৪ জানুযারি ১ হাজার ৩২০ মেগাওয়াট উপাদন ক্ষমতাসম্পন্ন এসএস পাওয়ার প্ল্যান্টটি জাতীয় গ্রিডের ৪০০ কেভি সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে যুক্ত হয়।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ