চট্টগ্রামের রাউজানে পুকুর থেকে আম তুলতে গিয়ে এক শিশু ও প্রতিবেশীর বাড়ির উঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে অপর এক বৃদ্ধার মৃত্যু হয়েছে।
সোমবার (২২ মে) সকালে ও দুপুরে রাউজান পৌরসভার ৫ ও ৭ নম্বর ওয়ার্ডে পৃথক এই ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, দুপুর সাড়ে ১২টায় পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের হেদায়ত আলী মুন্সির বাড়িতে পানিতে ডুবে মারা যায় ৭ বছর বয়সী শিশু জান্নাতুল নাঈম। সে ওই এলাকার দুবাই প্রবাসী আবদুল জব্বারের মেয়ে ও সালাম লায়লা এবতেদায়ী মাদরাসার ১ম শ্রেণির ছাত্রী।
স্থানীয় শিক্ষক রাশেদ বিল্লাহ বলেন, দুপুরে মাদরাসা থেকে ঘরে ফিরে গোসল করতে গিয়ে পুকুরে ডুব দিয়ে আম তুলতে গিয়ে নিখোঁজ হয় সে।
নিহতের ছোটবোন ডুব দিয়ে না উঠার বিষয়টি ঘরে অবহিত করলে সবাই গিয়ে পুকুরে তল্লাশি চালিয়ে মরদেহ উদ্ধার করেন। পরে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
অপরদিকে পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডে আরেক বাড়ির উঠানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে রিজিয়া বেগম (৬৮) নামের এক মহিলা মারা গেছেন। তিনি ওই ওয়ার্ডের শাহনগর সৈয়দ মাগন হাজীর বাড়ির অবসরপ্রাপ্ত সেনাবাহিনী সদস্য ও বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুস ছালামের স্ত্রী।
থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুন বলেন, মৃতের স্বামী আবদুস ছালাম আমাকে বলেছেন পার্শ্ববর্তী বাড়ির মন্নান সওদাগরের উঠানে সোমবার সকালে হাঁটতে যান তার স্ত্রী রিজিয়া বেগম। সেখানে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই। এ ব্যাপারে কেউ কারো বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয়নি।
মৃতের ছোট ভাই জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমাদের সবার বড় বোন রিজিয়া বেগম সোমবার ভোর সকালে প্রতিদিনের মতো হাঁটতে যান পার্শ্ববর্তী বাড়ির মন্নান সওদাগরের উঠানে। সেখানে সকাল ৬টার দিকে ওই বাড়ির পাকা উঠানে তার মৃতদেহ পাওয়া যায়। পরে ঘটনাস্থলে ডাক্তার আনা হলে ওই ডাক্তার আমার বোনকে মৃত ঘোষণা করেন।
জাহাঙ্গীর আরও বলেন, আমার বোনের ডায়াবেটিক, প্রেশার ছিল। বিদ্যুতের ঝাঁকুনি খেয়ে হয়তো তিনি মারা গেছেন।
স্থানীয় কাউন্সিলর আজাদ হোসেন ও চট্টগ্রাম পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি-২’র সচিব তসলিম উদ্দিন এক মহিলা মারা যাওয়ার কথা নিশ্চিত করলেও বিদ্যুৎস্পৃষ্টে মারা গেছেন কিনা জানে না বলে জানান।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ