চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঘূর্ণিঝড় আতঙ্কে উরিরচরের ৫০ হাজার মানুষ

সন্দ্বীপ সংবাদদাতা

১৩ মে, ২০২৩ | ১১:২৬ অপরাহ্ণ

ঘূর্ণিঝড় মোখা’র আতঙ্কে দিন কাটাচ্ছে সন্দ্বীপের বিচ্ছিন্ন ইউনিয়ন উরিরচরের বাসিন্দারা। দ্বীপের চারপাশে কোন বেড়িবাঁধ না থাকায় প্রতিটি মুহূর্ত আতঙ্কিত প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ। পর্যাপ্ত ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র না থাকায় বেশিরভাগ মানুষের আশ্রয়স্থান টিনের ছাউনির ঘর।

 

উরিরচরের স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, ১৯৮৫ ও ১৯৯১ সালের বন্যায় চরের কয়েকহাজার মানুষ মারা যায়। এছাড়াও প্রতিবছর বিভিন্ন বন্যা জলোচ্ছ্বাসে ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় পানিতে প্লাবিত হয়ে ফসল ও গবাদিপশুর ব্যপক ক্ষয়ক্ষতি হয়।

 

চরের মাটি উর্বর হওয়ায় এখানে প্রচুর ফসল চাষাবাদ হয়। বিস্তৃত এলাকা জুড়ে চারণভূমির কারণে এখানে ২০ হাজারের বেশি গরু, প্রায় ৮ হাজার মহিষ, ১৫ হাজার ভেড়া ও ১০ হাজার ছাগল পালন করা হয়। চরের অভ্যন্তরে ছোট-বড় ১ হাজারে বেশি পুকুরে বাণিজ্যিকভাবে বিভিন্ন প্রজাতির মাছ চাষ করা হয়। জানমালের নিরাপত্তার বিষয় ও কৃষি খাতে ব্যপক অর্থনৈতিক সম্ভাবনা মিলিয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা অঞ্চল হওয়ার পরেও এখানে কোন বেড়িবাঁধ নির্মাণ করা হয়নি।

 

ঘূর্ণিঝড় মোখাকে কেন্দ্র করে উরিরচরের চট্টগ্রাম ও নোয়াখালী জেলার প্রায় ৫০ হাজার মানুষের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রের পরিমাণ খুবই সামান্য। উরিরচরে চারটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে তিনটিকে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া দুর্যোগ মন্ত্রণালয়ের তিনটি স্থায়ী ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, সিডিএসপি’র তিনটি আশ্রয় কেন্দ্র, ও চারটি মুজিবকেল্লা আশ্রয়কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। চরে আশ্রয় নেওয়ার মতো পাকা দুইতলার ঘরবাড়ি নেই। কয়েকটি পাকা ঘর রয়েছে মাত্র।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা জানায়, চরে যেসব আশ্রয়কেন্দ্র রয়েছে সেগুলোতে ১২ থেকে ১৫ হাজার মানুষ এবং ৬ থেকে ৮ হাজার গবাদিপশু আশ্রয় নিতে পারবে। বন্যা এলে বাকি ৪০ হাজার মানুষ গাছে বা ঘরের মধ্যে থাকতে হবে।

 

উরিরচর ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আবদুর রহিম বলেন, উরিরচর ইউনিয়নে একটি শক্ত বেড়িবাঁধের অভাবে প্রতিবছর বহু ক্ষয়ক্ষতি হয়। এখানে দ্রুত বেড়িবাঁধ করা প্রয়োজন।

 

সন্দ্বীপ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সম্রাট খীসা জানান, উরিরচরে ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র হিসাবে সন্দ্বীপের অংশে তিনটি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও তিনটি মুজিবকিল্লা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়াও আশ্রয় কেন্দ্রের জন্য প্রয়োজনীয় ঔষধ ও শুকনো খাবার ব্যবস্থা করা হয়েছে।

 

 

পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ

শেয়ার করুন