
আজ ভোর রাত থেকে বিকেল পর্যন্ত ১৩ ঘণ্টার ব্যবধানে টেকনাফসহ সারাদেশে তিনবার ভূমিকম্প অনুভূত হয়েছে। সর্বশেষ আজ বিকেল ৪টা ১৫ মিনিট ২০ সেকেন্ডে রাজধানীতে ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তর জানায়, রিখটার স্কেলে ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৩ দশমিক ৬। এর উৎপত্তিস্থল নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ঘোড়াশালে।
এর আগে আজ ভোরের দিকে সিলেটে এবং কক্সবাজারের টেকনাফে দুই দফা ভূমিকম্প অনুভূত হয়।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের ভূমিকম্প পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা রুবাইয়াত কবির বলেন, বিকেলের ভূমিকম্পটি স্বল্পমাত্রার।
গত শুক্রবার (২১ নভেম্বর) ও পরদিন শনিবার প্রায় ৩১ ঘণ্টার মধ্যে ঢাকা ও এর আশপাশে চারবার ভূমিকম্প হয়।
এর মধ্যে শুক্রবার সকালে ঢাকা থেকে প্রায় ২৫ কিলোমিটার দূরে রিখটার স্কেলে ৫ দশমিক ৭ মাত্রার ভূমিকম্পটির উৎস ছিল নরসিংদীর মাধবদী। উৎপত্তিস্থলের গভীরতা ছিল ভূপৃষ্ঠ থেকে ১০ কিলোমিটার গভীরে। শুক্রবারের ভূমিকম্পে ১০ জন নিহত হয়। আহত হয় ৬০০ বেশি মানুষ।
আজও ঘটনাক্রমে ভূমিকম্পের উৎপত্তিস্থল ছিল ঢাকা থেকে খুবই কাছে নরসিংদীর পলাশ উপজেলায়।
ছয়টির মধ্যে তিনটি ভূমিকম্পরেই উৎপত্তিস্থল হলো নরসিংদী। এই এলাকা হলো বার্মা প্লেট এবং পশ্চিমেরটি ইন্ডিয়ান প্লেটের সংযোগস্থল বা সাবডাকশন জোন। এর এলাকা বিশাল। আজ সিলেটে ও টেকনাফে যে ভূমিকম্প হয়েছে তাও এই সাবডাকশন জোনের অন্তর্ভুক্ত।
পূর্বকোণ/কেএইচসি/এএইচ