চট্টগ্রামসহ সারাদেশেই দিনভর হিমেল হাওয়া, সন্ধ্যা নামতে আরও জেঁকে বসছে শীত। বিভিন্ন জেলায় মৃদ্যু শৈত্যপ্রবাহের মাঝে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে চুয়াডাঙ্গায় ৯ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এ পরিস্থিতিতে বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া অফিস।
আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, আগামী তিনদিন তাপমাত্রা কিছুটা বাড়লেও বর্ধিত পাঁচদিনে বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। একইসঙ্গে তাপমাত্রাও হ্রাস পেতে পারে। বৃহস্পতিবার (২ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় দেওয়া আবহাওয়ার ৭২ ঘণ্টার পূর্বাভাস থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
সংস্থাটি জানায়, শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। এর ফলে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সংস্থাটি আরও জানায়, সারাদেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি এবং দিনের তাপমাত্রা ১ থেকে ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে।
এদিকে, শনিবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারাদেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। মধ্যরাত থেকে দুপুর পর্যন্ত সারাদেশে মাঝারি থেকে ঘন কুয়াশা পড়তে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে বিমান চলাচল, অভ্যন্তরীন নদী পরিবহন এবং সড়ক যোগাযোগ সাময়িকভাবে ব্যাহত হতে পারে।
সারাদেশে রাত এবং দিনের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। ঘন কুয়াশার কারণে সারাদেশের কোথাও কোথাও দিবাভাগে শীতের অনুভূতি বিরাজমান থাকতে পারে। রবিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বৃষ্টিপাত, কুয়াশা ও তাপমাত্রার অবস্থা আগের দিনের অনুরূপ থাকতে পারে।
বর্ধিত পাঁচদিনের আবহাওয়ার অবস্থায় বলা হয়েছে, এ সময়ের শুরুর দিকে দেশের উত্তরাংশে হালকা বৃষ্টি অথবা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি এবং এ সময়ের শেষের দিকে তাপমাত্রা হ্রাস পেতে পারে।
সিনপটিক অবস্থায় বলা হয়েছে, উপমহাদেশীয় উচ্চচাপ বলয়ের বর্ধিতাংশ বাংলাদেশের পশ্চিমাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে। মৌসুমের স্বাভাবিক লঘুচাপ দক্ষিণ বঙ্গোপসাগরে অবস্থান করছে, এর বর্ধিতাংশ উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর পর্যন্ত বিস্তৃত রয়েছে।
পূর্বকোণ/মাহমুদ