চট্টগ্রাম শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪

সর্বশেষ:

ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটেনি

সারাদেশে আজও ঝড়-বৃষ্টির আভাস

নিজস্ব প্রতিবেদক

২৯ মে, ২০২৪ | ১১:৪০ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশের উপকূলে আঘাত হানার একদিন পরও ঘূর্ণিঝড় রেমালের প্রভাব কাটেনি। গতকাল সকালেও থেমে থেমে বৃষ্টি, সঙ্গে দমকা বাতাস বইছে। এসময় গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামে ১১৭ দশমিক ৪ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। টানা বৃষ্টিতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়েছে নগরীর বিভিন্ন স্থানে। এতে দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে নগরবাসীকে।

 

 

চট্টগ্রাম পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস জানায়, ঘূর্ণিঝড় রেমাল দুর্বল হয়ে গেলেও এর প্রভাবে উপকূলীয় এলাকাগুলোতে এমন দমকা হাওয়ার সাথে বৃষ্টি হয়েছে। আজও চট্টগ্রামে বৃষ্টির আভাস রয়েছে।

 

 

এদিকে বৃষ্টির কারণে নগরীর নিচু এলাকা বাদুরতলা, বহদ্দারহাট, চকবাজার, মুন্সিপুকুর পাড়, খাজারোড, মুরাদপুর, বাকলিয়াসহ আরো কিছু জায়গার নিচু সড়কে পানি জমে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। বাসাবাড়ি দোকানপাটে পানি ওঠেছে। এতে দুর্ভোগে পড়েছে বাসিন্দারা। সড়কে পানি উঠার কারণে এসব এলাকার বিশেষ করে চাকরিজীবী ও পথচারীদেরও দুর্ভোগে পড়তে হয়েছে।

 

 

বহদ্দারহাট এলাকার বাসিন্দা পলাশ মজুমদার বলেন, থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে তবুও রাস্তা থেকে গলির ভিতরে পানি জমেছে। ঘরেও পানি ছুষতেছে। খুব জোরে যে বৃষ্টি হলে পানি ঘরে ওঠে যাবে। শুধু সড়কেই নয়, একতলা বিশিষ্ট বাসাবাড়ি, বিভিন্ন কলোনির টিনসেটের ঘরগুলোতেও পানি জমতে দেখা যায়। এতে বাসাবাড়ির বাসিন্দা ও নারী-শিশুদেরও দুর্ভোগের অন্ত নেই।

 

 

চকবাজার এলাকার গাসিয়া পাড়ার বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ বলেন, রাস্তা উচু হওয়ায় রাস্তায় এবার পানি কম উঠেছে। তবে ঘরের মধ্যে পানি আছে। বাপ-দাদার ঘর তাই ছেড়ে যেতে পারছি না। কিন্তু এ এলাকায় ব্যাঙে প্রস্রাব করলেও পানি উঠে যায়। নালা খালগুলো পরিষ্কার করলে পানি তাড়াতাড়ি সরে।

 

 

এদিকে, আবহাওয়া অফিস জানিয়েছে, ঘূর্ণিঝড়টি দুর্বল হয়ে বর্তমানে স্থল নিম্নচাপ আকারে অবস্থান করছে। উপকূলীয় এলাকা থেকে ধীরে ধীরে তা সিলেট হয়ে ভারতের আসামের দিকে চলে যাচ্ছে। এর প্রভাবে গতকাল দুপুর পর্যন্ত বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করছিলো।

 

 

আবহাওয়াবিদ মো. মনোয়ার হোসেন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাজশাহী, দিনাজপুর, পাবনা, রংপুর, বগুড়া, টাঙ্গাইল, ময়মনসিংহ, যশোর, কুষ্টিয়া, ঢাকা, ফরিদপুর, মাদারীপুর, খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, নোয়াখালী, কুমিল্লা, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও সিলেট অঞ্চলের ওপর দিয়ে দক্ষিণ অথবা দক্ষিণ-পূর্ব দিক থেকে ঘণ্টায় ৬০ থেকে ৮০ কিলোমিটার বেগে বৃষ্টি অথবা বজ্রবৃষ্টিসহ অস্থায়ীভাবে ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে পারে। তাই এসব এলাকার নদীবন্দরগুলোকে দুই নম্বর নৌ হুঁশিয়ারি সংকেত দেখাতে বলা হয়েছে। পতেঙ্গা আবহাওয়া অফিস বলেন, আজও আকাশ আংশিক মেঘলা থাকতে পারে। সে সাথে অনেক জায়গায় অস্থায়ীভাবে দমকা/ঝড়ো হাওয়াসহ হালকা থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টি/বজ্রসহ বৃষ্টি হতে পারে। এসময় দিন ও রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। এসময় চট্টগ্রাম সমুদ্র বন্দরকে তিন নম্বর স্থানীয় সতর্কতা সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

 

 

তাপমাত্রা : গতকাল চট্টগ্রামের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৭.০ ডিগ্রি সেলসিয়াস।

 

সূর্যাস্ত ও সূর্যোদয় : আজকের সূর্যাস্ত হবে সন্ধ্যা ৬টা ৩৩ মিনিটে এবং আগামীকাল সূর্যোদয় হবে ভোর ৫টা ৯ মিনিটে।

 

জোয়ার-ভাটা : কর্ণফুলী নদীতে প্রথম ভাটা শুরু হয় রাত ৪টা ৩৬ মিনিটে এবং প্রথম জোয়ার শুরু হবে আজ সকাল ১০টা ৫৮ মিনিটে। দ্বিতীয় ভাটা শুরু হবে বিকেল ৪টা ৫৮ মিনিটে এবং দ্বিতীয় জোয়ার শুরু হবে রাত ১১টা ৫১ মিনিটে।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট