চট্টগ্রাম শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর, ২০২৫

চট্টগ্রামের ১৬ আসন : ভোটগ্রহণে প্যানেল প্রস্তুত, তফসিলের পর প্রশিক্ষণ

চট্টগ্রামের ১৬ আসন : ভোটগ্রহণে প্যানেল প্রস্তুত, তফসিলের পর প্রশিক্ষণ

মুহাম্মদ নাজিম উদ্দিন

২৮ নভেম্বর, ২০২৫ | ২:৪৯ অপরাহ্ণ

আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটগ্রহণের জন্য অর্ধ লক্ষাধিক কর্মকর্তার তালিকা প্রস্তুত করেছে নির্বাচন কমিশন। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে। চট্টগ্রাম জেলা সিনিয়র নির্বাচন কর্মকর্তা মোহাম্মদ বশির আহমদ বলেন, ‘সরকারি-বেসরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত বিভিন্ন সংস্থা এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জমা দেওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে ভোটগ্রহণ কর্মকর্তাদের প্যানেল প্রস্তুত হয়েছে। তফসিল ঘোষণার পর কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু হবে।’

 

আগামী বছরের ফেব্রুয়ারি মাসে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের ঘোষণা দিয়েছে সরকার ও নির্বাচন কমিশনার। ডিসেম্বরের প্রথম সপ্তাহে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার কথা বলেছেন নির্বাচন কমিশনার। সেই লক্ষ্য নিয়ে ভোটের প্রস্তুতি নিচ্ছে চট্টগ্রাম নির্বাচন কার্যালয়।

 

ইসির কর্মকর্তারা বলেন, আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য ভোটার, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষের তালিকা প্রকাশ করা হয়েছে। চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৯৬৫টি। ভোটকক্ষের সংখ্যা ১২ হাজার ৩৯৮টি।

 

নির্বাচন কমিশনের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতি ভোটকেন্দ্রে একজন করে প্রিসাইডিং অফিসার দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া প্রতিটি ভোটকক্ষে একজন করে সহকারী প্রিসাইডিং ও দুইজন করে পোলিং অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। সেই হিসাবে নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন ৩৯ হাজার ১৫৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা।

 

নির্বাচন কর্মকর্তারা বলেন, ভোটকেন্দ্র ও ভোটকক্ষে দায়িত্ব পালনকারী কর্মকর্তা ছাড়াও অতিরিক্ত হিসাবে আরও ১০ শতাংশ অতিরিক্ত নিয়োগ দেওয়া হবে। তাদেরও প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। জরুরি প্রয়োজনে তাদের ব্যবহার করা হবে।

 

গত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রামের ১৬ আসনে ভোটকেন্দ্র ছিল ২০২২টি। ভোটার সংখ্যা ছিল ৬৩ লাখ ৯৬১ জন। এবার হালনাগাদের পর আরও তিন লাখ নতুন ভোটার যুক্ত করা হয়। তবে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের চেয়ে আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র কমেছে ৫৪টি।

 

ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ দেওয়া নির্বাচনী কার্যক্রমে বড় কর্মযজ্ঞ। সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা, স্কুল-কলেজ ও মাদ্রাসার শিক্ষকেরা এই দায়িত্ব পালন করেন। নির্বাচনের কয়েক মাস আগে থেকেই কর্মকর্তাদের তালিকা প্রস্তুত করার কার্যক্রম শুরু হয়। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকে পাওয়া তালিকা যাচাই-বাছাই করে প্যানেল প্রস্তুত করা হয়। তফসিল ঘোষণার আগেই এসব প্রস্তুতি নিতে হয়।

 

গত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে। প্রতিটি নির্বাচন নিয়ে বিতর্ক রয়েছে। কোনটি একতরফা, কোনটি নিশিরাতে হয়েছে-এই ধরনের অভিযোগ রয়েছে। সর্বশেষ ২০২৪ সালে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচিতি পেয়েছে ‘আমি আর ডামি’ ভোট হিসেবে। এবার নির্বাচনে ভোটপ্রদানে আগ্রহী ভোটাররা। সরকার ও নির্বাচন কমিশন একটি মডেল নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছে।

 

পূর্বকোণ/ইবনুর

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট