
আজ (সোমবার) বিশ্বব্যাপী পালিত হচ্ছে বিশ্ব ফিজিওথেরাপি দিবস। ১৯৯৬ সাল থেকে বিশ্বের ১৩৮টি দেশের মতো বাংলাদেশেও এ দিবস পালন করা হচ্ছে। এ বছরের প্রতিপাদ্য নির্ধারণ করা হয়েছে—‘সুস্থ বার্ধক্যে ফিজিওথেরাপি: পড়ে যাওয়া ও দুর্বলতা প্রতিরোধে ফিজিওথেরাপির গুরুত্ব।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে শারীরিক সক্ষমতা, ভারসাম্য ও মাংসপেশির শক্তি কমতে থাকে। এতে পড়ে যাওয়ার ঝুঁকি বাড়ে এবং স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত হয়। সুস্থ বার্ধক্য নিশ্চিত করতে ফিজিওথেরাপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ফিজিওথেরাপিস্টরা বয়স উপযোগী ব্যায়াম ও চিকিৎসা পরিকল্পনা প্রদান করেন, যা মাংসপেশির শক্তি বৃদ্ধি, জয়েন্টের নমনীয়তা উন্নয়ন ও শারীরিক ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
বয়সজনিত নানা রোগ যেমন- অস্টিওআর্থ্রাইটিস, অস্টিওপরোসিস, মাংসপেশির দুর্বলতা, ভারসাম্যহীনতা, স্ট্রোক ও অন্যান্য স্নায়বিক সমস্যা, পারকিনসনস ডিজিজ, ডিমেনশিয়া, দীর্ঘদিন শয্যাশায়ী থাকা, ঘাড় ও কোমরের ব্যথায় ফিজিওথেরাপি কার্যকর। এসব অবস্থায় ফিজিওথেরাপি শুধু শারীরিক সক্রিয়তা বাড়ায় না, রোগীকে মানসিকভাবেও সুস্থ থাকতে সহায়তা করে।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সুস্থ বার্ধক্যের জন্য তিনটি বিষয় একত্রে জরুরি- শারীরিক ব্যায়াম, মানসিক স্বাস্থ্য রক্ষা এবং প্রয়োজনীয় ফিজিওথেরাপি গ্রহণ।
তবে চিকিৎসা নেওয়ার আগে নিশ্চিত হতে হবে থেরাপিস্ট কোনো স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক বা স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেছেন কিনা।
তাই সচল থাকুন, সুস্থ থাকুন- নিয়মিত ফিজিওথেরাপি নিন।
লেখক: বিপিটি, এমএসপিটি (ডিইউ), চিফ ফিজিওথেরাপিস্ট, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল