টানা সাড়ে ৬ মাস অকেজো থাকার পর অবশেষে ‘সচল’ হয়েছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান মেশিন। গত সোমবার মেশিনটি সচল করতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা।
এর আগেও গত সেপ্টেম্বরে মেশিনটি ত্রুটি সারায় প্রকৌশলীরা। যদিও পরীক্ষামূলক চলার মধ্যেই তিন সপ্তাহের মাথায় আবার বিকল হয়। এরপর চার মাস বন্ধ আছে সেবাদান। একমাত্র মেশিন চালু হলেও তা পরীক্ষামূলকভাবে চলছে বলে জানিয়েছেন কর্তৃপক্ষ।
গত বছরের ৪ আগস্ট ত্রুটি দেখা দেয়ায় চট্টগ্রামের বৃহৎ এ সরকারি হাসপাতালের একমাত্র সিটিস্ক্যান সেবা কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। এরপর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা এসে মেরামতের চেষ্টা চালিয়ে যান। এরমধ্যে গত ২৮ সেপ্টেম্বর রাতে মেশিনটি সচল করতে সক্ষম হন প্রকৌশলীরা। মেরামতের পর সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের পরীক্ষাধীন অবস্থায় একই বছরের ২৩ অক্টোবর আবার ত্রুটি দেখা দেয়। এরপর থেকে গত ১৯ তারিখ পর্যন্ত কার্যক্রম বন্ধ ছিল সিটি স্ক্যান মেশিন।
মেশিনটি চালু হওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শামীম আহসান পূর্বকোণকে বলেন, ‘সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের প্রকৌশলীরা সিটিস্ক্যান মেশিনটি সচল করেছেন। পরীক্ষামূলকভাবে কার্যক্রম চলছে। এখনও পর্যন্ত অফিসিয়ালি বুঝে নেয়া হয়নি। এর আগেও পরীক্ষামূলক চলা অবস্থায় বিকল হয়ে যায় মেশিনটি।’
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের মার্চের দিকে চমেক হাসপাতালের তৃতীয় তলায় অবস্থিত রেডিওলজি এন্ড ইমেজিং বিভাগে স্থাপন করা হয় সিটিস্ক্যান মেশিনটি। প্রায় সাত কোটি টাকা মূল্যের এ মেশিনটি সরবরাহ করে ঢাকার মেডিটেল প্রাইভেট লিমিটেড নামে এক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। চুক্তি অনুযায়ী মেশিনটির ওয়ারেন্টি রয়েছে ২০২৬ সাল পর্যন্ত। এছাড়াও মেশিনটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য পৃথক রক্ষণাবেক্ষণ চুক্তি বা সিএমসি করা হয় প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে। তবে মেশিনটি চালু হওয়ার পর কিছুদিন বিচ্ছিন্নভাবে চালু থাকলেও বহুবার ত্রুটির কারণে সেবা বন্ধ ছিল সিটিস্ক্যানের। যার কারণে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হয় সাধারণ রোগীদের।
পূর্বকোণ/এসি