মিয়ানমারের মর্টারশেল এসে পড়েছে বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার ঘুমধুম ইউনিয়নের মধ্যমপাড়ায়। মঙ্গলবার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। মর্টারশেলটি ওই এলাকার বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বাড়ির উঠানের আমগাছে লেগে মাটির নিচে ঢুকে যায়। এতে কেউ হতাহত না হলেও বসতঘরের কাচের জানালা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ঘুমধুম ইউপি চেয়ারম্যান এমকেএম জাহাঙ্গীর আজিজ।
জানা গেছে, সকাল ৬টা থেকে ঘুমধুম সীমান্তের ওপারে ঢেকোবুনিয়া এলাকার মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিজিপি-২ নম্বর ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প এলাকায় তীব্র গোলাগুলির শব্দ শোনা যাচ্ছিল।
এলাকাবাসী জানান, ঘুমধুমের বেতবুনিয়া বাজার থেকে পূর্ব দিকে পাহাড়ের ওপর মধ্যমপাড়ায় বীর মুক্তিযোদ্ধা নুরুল ইসলামের বসতঘর। মঙ্গলবার সকাল থেকে ওপারের ঢেকোবুনিয়া এলাকার বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) ২ নম্বর ব্যাটালিয়ন ক্যাম্প রয়েছে। ঠিক সেখান থেকে সকাল ৯টার দিকে একটি মটরশেল ছুঁড়ে এসেছে ছৈয়দ নুরের বাড়ির আঙ্গিনায়। ঘরের জানালায় আঘাত হেনেছে এটি।
তারা আরও জানান, সীমান্তের তুমব্রু এলাকার ওপারে সপ্তাহজুড়ে যুদ্ধের গোলাগুলি, মর্টারশেল, গ্রেনেডের আওয়াজ শুনে আসছিলাম। এখন হয়তো সেদেশের সরকার আর বিদ্রোহী গোষ্ঠী মধ্যকার যুদ্ধে স্থান (যুদ্ধক্ষেত্র) পরির্বতন করেছে।
ঘুমধুম পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ (আইসি) মাহাফুজ ইমতিয়াজ ভুঁইয়া বলেন, একটি মর্টারশেল এসে ছৈয়দ নুর নামক একব্যক্তির বসতঘরের পড়েছে বলে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছি।
উল্লেখ্য, কক্সবাজার ও বান্দরবান সীমান্তে গত বছর থেকে বিদ্রোহী গোষ্ঠী আরাকান আর্মির (এএ) সঙ্গে মিয়ানমারের সেনাবাহিনী ও দেশটির সীমান্তরক্ষী বর্ডার গার্ড পুলিশের (বিজিপি) লড়াই চলছে। মাঝে কিছুদিন উত্তেজনা কমে এলেও সপ্তাহ ধরে আরও দুই পক্ষের মধ্যে তুমুল লড়াই হচ্ছে। দুই পক্ষের মধ্যে গোলাগুলির সময় মাঝেমধ্যে মর্টারশেল ও গুলি বাংলাদেশে এসে পড়ছে।
মিয়ানমার সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও বিদ্রোহীদের চলমান সংঘর্ষের উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে বাংলাদেশেও। এ নিয়ে সীমান্তের পাশে বসবাসকারী বাংলাদেশি নাগরিকদের মনে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
পূর্বকোণ/পিআর/এএইচ