
দীর্ঘক্ষণ এসিতে থাকা শরীরের জন্য মোটেও ভালো নয়। এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। বাড়ি বা অফিস- দীর্ঘক্ষণ এসির কৃত্রিম বাতাসে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতায় টান পড়ে, তখন ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বক শুষ্ক করার পাশাপাশি স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকেও সমস্যা বেড়ে যায়।
দীর্ঘ সময় এসির ঠাণ্ডা বাতাসে থাকলে ত্বকের আবরণের নিচের পানি শুকিয়ে যায়। এর ফলে চুলকানি হওয়া, ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ত্বক ফেটে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে দ্রুত ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা হতে পারে।
অতিরিক্ত এসি নির্ভরশীলতা ত্বকের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর হতে পারে:
একটানা এসির মধ্যে থাকলে ত্বক ও চুলের মারাত্মক ক্ষতি হয়। কারণ হিসেবে তারা বলছেন, এসির ঠান্ডা বাতাসে আর্দ্রতা থাকে না। এ কারণে এসি রুমে মেকআপ নষ্ট হয় না। কিন্তু তা ত্বকের ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
দিনের বেশির ভাগ সময়ে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতায় নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। আমাদের ত্বকের আবরণের নিচে পানির স্তর রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ এসির মধ্যে থাকার ফলে ত্বকের এই পানির স্তর কমতে শুরু করে। যা ত্বককে করে তোলে মসৃণ ও খসখসে। কৃত্রিম ঠান্ডা বাতাসে শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
দীর্ঘক্ষণ এমন কৃত্রিম ঠান্ডা পরিবেশে থাকার ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়, যা কম বয়সে ত্বকে বলিরেখা পড়ার বড় একটি কারণ।
ডার্মাটোলজিস্টরা বলছেন, দীর্ঘ সময় এসিতে থাকলে ঠান্ডা আবহাওয়ায় চুলের ওপরে আবরণ হিসেবে থাকা ময়েশ্চার কমতে শুরু করে। যা অকারণে চুল ঝরে পড়ার সমস্যা সৃষ্টি করে।
এসিতে ত্বকের সুরক্ষায় কী করবেন:
যদি অফিসে এসি থাকে তাহলে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ঢোকার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন এবং সঙ্গে রেখেও দিন। ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ভারী কোনো লোশন বা ক্রিমও মাখতে পারেন।
এসিতে থাকলে ত্বকের যত্ন নিতে প্রচুর পরিমাণে পানি পান করবেন। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার পানি পান করা দরকার সুস্থ থাকতে। একটানা দীর্ঘক্ষণ এসির বাতাসে না থেকে মাঝেমাঝেই বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ঘুরে আসুন।
ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিনও। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে গ্লিসারিন দারুণ কার্যকর। শুধু ত্বক নয়, শীতাতপনিয়ন্ত্রণ যন্ত্রের ঠাণ্ডা বাতাস ঠোঁটও রুক্ষ করে তোলে। তাই ঠোঁটের কোমলতা ও মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার করুন পেট্রোলিয়াম জেলি। চাইলে লিপগ্লসও লাগিয়ে রাখতে পারেন।
ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে দুধের সরের সঙ্গে গোলাপের পাঁপড়ি বাটা মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটের কালো দাগ কমে যায়। ঠোঁট হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ।
পূর্বকোণ/ইবনুর