চট্টগ্রামে যুবদলের দুই কর্মীকে ভাংচুরের মামলায় জড়িয়ে হয়রানির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী এলাকাবাসী। সোমবার (৯ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাব এস রহমন হলে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বাকলিয়া থানা যুবদলের আহ্বায়ক ইসমাইল হোসেন লেদু বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরীর দক্ষিণ বাকলিয়া এলাকার যুবদল কর্মী মো. দেলোয়ার হোসেন ও মো. নুরু বাকলিয়ার মাস্টারপোল এলাকায় বসবাস করেন এবং পোশাকশিল্প কারখানায় লোডিং-আনলোডিংয়ের কাজে কর্মরত আছেন। দীর্ঘদিন ধরে যুবদল কর্মী হিসেবে তারা দলের সকল সাংগঠনিক কর্মকাণ্ডে অংশগ্রহণ করে আসছেন। বিএনপি আয়োজিত ২০২৪ সালে তারুণ্যের রোডমার্চসহ দলীয় সকল কর্মকাণ্ডে এই দুই যুবদল কর্মী সক্রিয় ছিলেন।

ইসমাইল হোসেন লেদু আরো জানান, বিগত ২৬ নভেম্বর এই দুই যুবদল কর্মীকে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের ভাংচুরের মামলায় পুলিশ নগরীর টেরিবাজারের বক্সিরহাট বিট এলাকা থেকে আটক করে। ওইদিন রাত ৮টায় দুই যুবদল কর্মীকে আটকের পর রাতভর বক্সিরহাট পুলিশ বিটে বসিয়ে রাখা হয়। ঘটনায় জড়িত থাকার কোনরূপ তথ্যপ্রমাণ না পেয়ে পুলিশ দুই যুবদল কর্মীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে ২৭ নভেম্বর কোতোয়ালী থানার মামলা করে। পরে ওই মামলায় তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে সোপর্দ করলে মাননীয় আদালত দু’জনকে জেলহাজতে প্রেরণের আদেশ দেন।

সংবাদ সম্মেলনে ইসমাইল হোসেন লেদু আরও জানান, পরবর্তীতে এই দুই কর্মীর জামিনের জন্য চেষ্টা করা হলেও তাদের ইসকনের ঘটনায় জড়িত মর্মে মিথ্যা অপবাদ দেওয়া হয়। অথচ উক্ত মামলায় যে ১৪ জনকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে শুধুমাত্র এই দুই মুসলিম যুবদল কর্মীকে উদ্দেশ্যমূলকভাবে হয়রানির জন্য সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যারা এই ঘটনার ধারে কাছেও ছিলেন না। ঘটনার সময় এই দুই যুবদল কর্মী তাদের নিজস্ব কাজে ব্যস্ত ছিলেন। সিসিটিভি ফুটেজ বিশ্লেষণ করলে সত্য উদঘাটিত হবে।

ইসমাইল হোসেন লেদু বলেন, প্রকৃতপক্ষে তারা যুবদলের সক্রিয় কর্মী। উক্ত মামলার ঘটনার সাথে তাদের কোনপ্রকার সম্পৃক্ততা ছিলো না। প্রকৃত ঘটনা ভিন্নখাতে প্রবাহিত করার হীন চেষ্টায় কুচক্রী মহল যুবদলের কর্মীদের গ্রেপ্তার করে। আমরা যুবদলের কর্মীদের গ্রেপ্তারের তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমরা যুবদল কর্মীদের মুক্তি দাবী করছি।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. জাকির হোসেন, মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, মো. জাবেদ, মো. সাদ্দামুল হকসহ বাকলিয়া এলাকার অর্ধ শতাধিক নারী-পুরুষ অংশ নেন।

পূর্বকোণ/এএইচ