
থাইল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ফিফা প্রীতি ম্যাচে ৩ গোলে হেরেছিল বাংলাদেশের মেয়েরা। আজ দ্বিতীয় ও শেষ প্রীতি ম্যাচেও হার এড়াতে পারেনি পিটার বাটলারের শিষ্যরা। স্বাগতিকদের কাছে এই ম্যাচে ৫-১ গোলের বড় ব্যবধানে হেরেছে আফঈদা খন্দকাররা।
থনবুরি বিশ্ববিদ্যালয় ফুটবল ট্রেনিং সেন্টারে সোমবার (২৭ অক্টোবর) ফিফার বর্তমান র্যাংকিয়ে বাংলাদেশের (১০৪তম) চেয়ে এগিয়ে থাকা থাইল্যান্ড (৫৩তম) দুই ম্যাচেই আধিপত্য দেখালো।
শুরুতে থাইল্যান্ডের সঙ্গে সমানে সমানই লড়ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু ১২ মিনিটে অতিরিক্ত হাই-লাইন ডিফেন্সের মাশুল গুণতে হয় দলকে। মাঝমাঠ থেকে সতীর্থের রক্ষণ চেরা পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে নিয়ন্ত্রণে নেন থাইল্যান্ডের অধিনায়ক সোয়ালাক পেঙ্গনাম। অনেকটা এগিয়ে ওয়ান অন ওয়ান পজিশনে পেয়ে যান রুপনা চাকমাকে। তার পায়ের ফাঁক দিয়ে বল জালে জড়িয়ে দেন পেঙ্গনাম।
একটু পর একইভাবে সতীর্থের থ্রু পাস অফসাইডের ফাঁদ ভেঙে ধরেছিলেন পেঙ্গনাম। তবে তিনি শট নেওয়ার আগে শিউলি আজিম নিখুঁত ট্যাকলে বিপদমুক্ত করেন। ২০ মিনিটে শিউলিই বক্সের কোণা থেকে বাম পায়ের শটে চেষ্টা করেন, কিন্তু বল সরাসরি যায় গোলকিপারের কাছে।
২৩ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করে নেয় থাইল্যান্ড। নিজেদের অর্ধ থেকে সতীর্থের লং পাস আবারও অফসাইডের ফাঁদ ফাঁকি দিয়ে নিয়ন্ত্রণে নেন জিরাপর্ন মঙ্গকোলদে। পিছু ছোটা নবীরন-আফঈদাদের গতিতে পরাস্ত করে ঠাণ্ডা মাথার চিপ শটে জাল খুঁজে নেন তিনি।
পাঁচ মিনিট পর ম্যাচে ফেরার উপলক্ষ পায় বাংলাদেশ। মনিকা চাকমার কর্নারে অনেকটা লাফিয়ে শামসুন্নাহার জুনিয়রের নেওয়া হেড পোস্টের ভেতরের দিকে লেগে ঠিকানা খুঁজে পায়।
রক্ষণের দুর্বলতা ৩৫ মিনিটে আবারও ফুটে ওঠে। আফঈদা-শামসুন্নাহার সিনিয়রের ফাঁক দিয়ে বেরিয়ে চিপ শটে লক্ষ্যভেদ করেন মাদিসন কাস্তিন। পোস্ট ছেড়ে বেরিয়ে এসেও আক্রমণ রুখতে পারেননি রুপনা।
প্রথমার্ধের শেষ দিকে রুপনার দৃঢ়তায় ব্যবধান বাড়েনি। বক্সের ভেতরে সতীর্থে ছোট পাস ফাঁকায় পেয়েছিলেন পেঙ্গনাম। তার শট দারুণ ক্ষিপ্রতায় পা দিয়ে আটকে দেন বাংলাদেশ গোলরক্ষক।
বিরতির পর থাইল্যান্ডের আক্রমণ বাড়তেই থাকে। ৫৮ মিনিটে স্পট কিক থেকে ব্যবধান আরও বাড়ান জিরাপর্ন। বক্সে তাকে কোহাতি কিসকু পেছন থেকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় থাইল্যান্ড।
জয় অনেকটা নিশ্চিত হয়ে গেলেও বাংলাদেশের রক্ষণে চাপ ধরে রাখে থাইল্যান্ড। রুপনা রুখে দেন তাদের কয়েকটি প্রচেষ্টা। শেষ দিকে বাংলাদেশ আক্রমণ গড়ার চেষ্টা করেও সফল হয়নি।
পূর্বকোণ/আরআর/পারভেজ