
অতিথি নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ জয় নিশ্চিত করেছে টাইগাররা। সে হিসাবে আজকের ম্যাচটি নিয়মরক্ষার মনে হলেও আদতে তা নয়। কারণ, বিশ্ব ক্রিকেটে ডাচদের বিরুদ্ধে জিততে না পারাটাও হয়ে যাবে সংবাদ শিরোনাম, সেটা নিয়মরক্ষার ম্যাচ হলেও। সঙ্গত কারণেই উড়তে থাকা লিটন দাসের দল পা হড়কানো নয় বরং অতিথিদের ধবল ধোলাই করারই ছক কষছে। আজকের ম্যাচটিও সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে শুরু হবে সন্ধ্যা ৬টায়, সরাসরি দেখা যাবে টি স্পোর্টসে।
ডাচরা ধবল ধোলাই হবে, হয়তো। তবে তাদের যে ডেকে আনা হয়েছে এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ হিসাবে তার নিদর্শন কই। কারণ বাংলাদেশের জন্য ১১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া এশিয়া কাপে যদি আগে ব্যাট করতে হয়, তার প্রস্তুতিতো হলো না। যেখানে ক’দিন আগে অধিনায়ক লিটন কুমার দাস বলেছিলেন, ২০০-২৫০ রান করাটা একটা অভ্যাসেরও বিষয়….চেষ্টা করব যে ওইখানে কীভাবে পৌঁছানো যায়। কিন্তু বাস্তবে লিটনরা পাওয়া সুযোগইতো কাজে লাগাননি। তুলনামূলক সহজ প্রতিপক্ষ হওয়ার পরও টস জিতে কেন আগে ফিল্ডিং নেয়া হয়েছে সেই প্রশ্নটাই আসছে ঘুরে ফিরে। ব্যাটিংয়ের সুযোগটা হয়েছে কেবল তানজিদ তামিম, পারভেজ ইমন ও লিটনের। অর্থাৎ দুই ম্যাচে সব মিলিয়ে ব্যাটিং পেয়েছেন ৪ ব্যাটার, খেলেছেন ২৬.৪ ওভার। মেরেছেন ২০ চার ও ৯ ছক্কা। তবুও প্রশ্নটা থেকেই যাচ্ছে। অথচ এশিয়া কাপের ভাবনায় আগে ব্যাটিং করে নিজেদের ঝালিয়ে নিতে পারতেন লিটনরা, দিতে পারতেন পরীক্ষাও।
শুধু ব্যাটারদের নয় পরীক্ষাটা হতে পারতো বোলারদেরও। গত মে মাসে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ২০৫ রান করেছিল বাংলাদেশ। তবুও সেদিন জিততে পারেননি লিটনরা। পাকিস্তানের বিপক্ষে শেষ টি-টোয়েন্টিতেও ১৯৬ রান করে হারতে হয়েছে পরে বোলিং করে। ওই সময় বাংলাদেশের অধিনায়ক দায়টা চাপিয়ে দিয়েছিলেন শিশিরের উপর।
ডাচদের বিরুদ্ধে আজ হয়তো টাইগারররা আগে ব্যাট করার প্রস্তুতি নিয়ে থাকতে পারেন। একেবারে না হওয়ার চাইতে সেটাও কম নয়, যদি সুযোগ মিলে। তবে আজও যদি আগে বল হাতে দেখা যায় সাইফউদ্দিন-শরিফুলদের, মানতেই হবে এশিয়া কাপের আগে একটি দ্বিপাক্ষিক সিরিজ জয়ে গর্ব জড়িয়ে থাকলেও প্রস্তুতিতে পাস মার্ক পাওয়াটা আর হলো না।
পূর্বকোণ/ইবনুর