সাকিব আল হাসান দেশের মাটিতে অবসরের ইচ্ছের কথা জানিয়েছিলেন ভারতে। মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট খেলেই অবসর নিতে চেয়েছিলেন তিনি। তবে মাঠ থেকে বিদায় নিতে পারবেন কি তা নিয়ে এখনো সংশয় রয়েছে। গত ৫ আগস্ট রাজনৈতিকতা বাস্তবতা বদলে যাওয়ার পর সাকিবের নামে হত্যা মামলা হয়েছে।
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় চুপ থাকায় সাকিবের প্রতি অসন্তোষ আছে। ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে এ নিয়ে ক্ষমাও চান সাকিব। এরপর তাকে নিয়েই মিরপুর টেস্টের স্কোয়াড ঘোষণা করা হয়। কিন্তু এর মধ্যেই আবারও বিক্ষোভ হলে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি’ এড়াতে সাকিবকে দেশে আসতে নিষেধ করা হয়।
এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ক্ষোভ জানিয়েছেন দেশের খ্যাতিমান ক্রিকেট কোচ মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তিনি লিখেছেন, ‘দেশের প্রতি, দেশের মানুষের প্রতি কখনই এতো রাগ বা কষ্ট লাগে নাই, আজ কেন যেন লাগছে। আমরা মানুষ কী কখনও নিজেরা ভুল করি না, কেউ অনুতপ্ত হলে তাকে একটা সুযোগ দেওয়া উচিত। কিন্তু আমরা কেমন যেন হয়ে যাচ্ছি, দয়া-মায়া জিনিসটা আমাদের মধ্যে থেকে উঠে গেছে।
তিনি লিখছেন, একটা মানুষ দেশের জন্য ১৭টা বছর কিছু না কিছু করেছে, আজ ক্রিকেট বিশ্ব আমাদের একটু সম্মান করে কাদের জন্য? তারা ক্রিকেট মাঠে নামতে পারবে না, এই কান্না তো সবাই দেখবে না, রাজনীতি করছে বলে এরা খুনি? এদের সঙ্গে মিশেছেন, এরা কত মানুষের ভাত-কাপড়ের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন জানেন আপনি? এরা কত অসহায় মানুষের চিকিৎসা করিয়েছেন সেটা কি জানেন?’
সাকিব ও মাশরাফি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য ছিলেন। তাদের দুজনের নামেই মামলা হয়েছে। সাকিব এখনও দেশে ফেরেননি। মাশরাফিও আছেন আত্মগোপনে। দুজনের এমন অবস্থা নিয়েও আফসোস করেন সালাউদ্দিন।
কোচ সালাউদ্দিন বলছেন, দেশকে সবাই কম বেশি ভালোবাসে, এদের ভালোবাসাটা হয়তো দেখা যায়নি, তাদের কাছ থেকে দেখেছি, তারা মানুষের উপকার ছাড়া কারো ক্ষতি করেনি, তারা খুনি না। খুব কষ্ট পাচ্ছি এদের কে মাঠ থেকে বিদায় দেখতে পাব না, মানুষকে মাফ করুন, আল্লাহ আমাদের অনেক অপরাধ মাফ করে দেবেন, আমরা সবাই কম বেশি অপরাধী, সম্মান কাউকে দিলে আপনিও সম্মানিত হবেন।
পূর্বকোণ/এমটি/পারভেজ