কানপুর টেস্টে মুমিনুল হকের সেঞ্চুরিতে প্রথম ইনিংসে ২৩৩ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। জবাবে আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে ২৮৫ রানে ইনিংস ঘোষণা করে ভারত। ৫২ রানের লিড রোহিত শর্মা দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটারদের ব্যর্থতায় ১৪৬ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ। জয়ের জন্য ৯৫ রান প্রয়োজন ভারতের।
৫২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই উইকেট হারায় বাংলাদেশ। এই ইনিংসেও ব্যর্থ ওপেনার জাকির হাসান দলীয় ১৮ রানে ১৫ বলে ১০ রান করে আউট হন এই টাইগার ওপেনার। জাকিরের বিদায়ের পর নাইট ওয়াচম্যাচ হিসেবে ক্রিজে আসেন হাসান মাহমুদ। তবে দ্রুতই সাজঘরে ফিরে যান তিনি। দলীয় ২৬ রানে ৯ বলে ৪ রান করে আউট হন হাসান। ১১ ওভারে ২ উইকেট হারিয়ে ২৬ রান সংগ্রহ করে চতুর্থ দিন শেষ করে বাংলাদেশ।
চতুর্থ দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার মুমিনুল হক ও সাদমান ইসলাম ব্যাট করতে নামেন পঞ্চম দিনে। শুরুতেই সাজঘরে ফিরে যান প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মুমিনুল। দলীয় ৩৬ রানে ৮ বলে ২ রান করে আউট হন তিনি। এরপর অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন সাদমান। ভারতীয় বোলারদের সামলে রানের চাকা সচল রাখেন তিনি। তবে দলীয় ৯১ রানে ৩৭ বলে ১৯ রানে আউট হন শান্ত। তার বিদায়ের পর ৬৭ বলে ফিফটি তুলে নেন সাদমান। ফিফটির পর পরই আউট হন এই টাইগার ওপেনার। ১০১ বলে ৫০ রানে সাজঘরে ফিরে যান তিনি।
এরপর দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারিয়ে চরম ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে বাংলাদেশ। লিটন দাস ১ ও রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান সাকিব আল হাসান। এরপর মেহেদী হাসান মিরাজকে সঙ্গে নিয়ে বিপর্যয় সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হন মুশফিক। দ্রুতই আরও জোড়া উইকেট হারায় বাংলাদেশ। মিরাজ ১৭ বলে ৯ ও রানের খাতা খোলার আগেই আউট হন তাইজুল ইসলাম।
একপ্রান্ত আগলে রেখে ব্যাট করতে থাকেন মুশফিক।শেষ ব্যাটার হিসেবে মুশফিক আউট হলে ৪৭ ওভারে ১৪৬ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। ৬৩ বলে ৩৭ রান করেন মুশফিক। ভারতের পক্ষে জসপ্রীত বুমরাহ, রবিচন্দ্রন অশ্বিন ও রবীন্দ্র জাদেজা নেন ৩টি করে উইকেট।
পূর্বকোণ/ইব