নিজের দলকে নিয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন ব্রাজিলের নতুন কোচ। ২৪ ঘণ্টা আগেই নিশ্চয়তা দিয়েছিলেন ২০২৬ বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলবে তার দল। কিন্তু মাঠের খেলায় কোচের বক্তব্যের প্রতিদানই দিতে পারলেন না ভিনিসিয়ুস-রদ্রিগো-পাকেতারা। বিশ্বকাপের বাছাইপর্বে প্যারাগুয়ের বিপক্ষে হারটাই সঙ্গী হলো তাদের।
৯০ মিনিটের খেলায় ব্রাজিল সবশেষ প্যারাগুয়ের কাছে হেরেছিল সেই ২০০৮ সালে। ক্যালেন্ডারের পাতায় ১৬ বছর পর এমন বাজে অবস্থান দেখল সেলেসাওরা। মাঝে কোপা আমেরিকায় দুই দফায় হারলেও সেটা ছিল টাইব্রেকারে।
র্যাঙ্কিংয়ে ব্রাজিল ৫ম। প্যারাগুয়ে আছে ৬২তম স্থানে। শক্তিশালী প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্যারাগুয়ে কোচ গুস্তাভো আলফারোর কৌশল ছিল পরিষ্কার। আগে ঘর সামলাও, এরপর আক্রমণ। কৌশল কাজে দিল ঠিকঠাক। মাত্র একদিন আগেই বিশ্বকাপ ফাইনালে খেলার নিশ্চয়তা দেয়া ব্রাজিল এবার পড়লো লজ্জার এক হারের সামনে। প্যারাগুয়ের বিপক্ষে ১-০ গোলে হারের মুখ দেখল ব্রাজিল।
বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) প্যারাগুয়ের ঘরের মাঠে দাপট দেখিয়ে শুরু করলেও ফরোয়ার্ডদের ব্যর্থতায় গোলের মুখ দেখা হয়নি ব্রাজিলের। উল্টো প্রথমার্ধের ২০ মিনিটে ইন্টার মায়ামির উইঙ্গার ডিয়েগো গোমেজের গোলে লিড পেয়ে যায় প্যারাগুয়ে। ব্রাজিলের রক্ষণভাগের দুর্বল ক্লিয়ারেন্সের সুযোগে দূরপাল্লার শটে লিড নেয় স্বাগতিকরা।
ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, এন্ড্রিক আর রদ্রিগোকে নিয়ে প্যারাগুয়ে ম্যাচের আক্রমণভাগ সাজিয়েছিলেন ব্রাজিল কোচ দোরিভাল। পুরো দলেই তারকার অভাব নেই। কিন্তু এরপরও ব্রাজিলের ফরোয়ার্ডদের নিষ্ক্রিয় করে রাখল প্যারাগুয়ের লো ব্লক ডিফেন্স। ভিলাসান্তি আর বোবাদিয়ার ডাবল পিভট মিডফিল্ডের সঙ্গে ফোর ম্যান ব্যাক শক্তভাবেই আটকেছে ব্রাজিলকে।
শেষ ৫ ম্যাচে এটি ব্রাজিলের ৪র্থ হার। সেই সঙ্গে গত পাঁচ ম্যাচে মাত্র একবারই ২ গোলের বেশি করতে পেরেছিল তারা। সেটাও কোপা আমেরিকায় এই প্যারাগুয়ের বিপক্ষেই। কিন্তু দুই মাস না যেতেই প্যারাগুয়ে ব্রাজিলকে ডোবাল নতুন লজ্জায়।
২০২৬ বিশ্বকাপ দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইপর্বে এই হারে টেবিলের পাঁচে নেমে গেল ব্রাজিল। এই ম্যাচসহ সর্বশেষ পাঁচ ম্যাচে এটি চতুর্থ হার ব্রাজিলের। ৮ ম্যাচে তাদের ১০ পয়েন্ট।
এই মহাদেশ থেকে পয়েন্ট টেবিলে শীর্ষ ছয় দল সরাসরি জায়গা পাবে বিশ্বকাপের চূড়ান্তপর্বে। সপ্তম দলটিকে খেলতে হবে প্লে অফ। প্রতিটি দল খেলবে ১৮ ম্যাচ।
পূর্বকোণ/মাহমুদ