একের পর এক রেকর্ড যেন করেই যাচ্ছেন ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। মাঠে নামলেই তার রেকর্ড গড়া ও ভাঙার যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। ২০০২ সালে পর্তুগালের স্পোর্টিং লিসবনের হয়ে খেলতে নামেন রোনালদো। পরের বছরই তাঁর অসাধারণ প্রতিভার কারণে পর্তুগালের মূল দলে ডাক পায়। তখন থেকেই শুরু হয় রোনালদোর ক্যারিয়ারের মূল যাত্রা।
আজ শুক্রবার দিবাগত রাতে উয়েফা ন্যাশনস লীগে ক্রোয়েশিয়ার মুখোমুখি হয় পর্তুগাল। শুরু একাদশে ছিলো সবচেয়ে বয়স্ক খেলোয়াড় ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো। দাপট দেখিয়েই মাঠে খেলেছেন। প্রথমার্ধের প্রথম ৭ মিনিটে ডিয়াগো দালতের গোলে এগিয়ে যায় পর্তুগাল। ৩৪ মিনিটে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদো যোগ করেন আরেকটি গোল। এতেই পূর্ণ হয় ৯০০ গোলের মাইলফলক। স্বীকৃত মূল ম্যাচের গোলের নতুন রেকর্ড করেন তিনি।
সাথে জাতীয় দলের হয়ে করেন ১৩১ তম গোল। যা আন্তর্জাতিক ম্যাচে প্রথম কোনো খেলোয়াড়ের সর্বাধিক গোলের সংখ্যা।
অন্যদিকে ক্রিস্টিয়ানো রোনালদোর চির প্রতিদ্বন্দ্বী লিওনেল মেসি আছেন অনেকটা পিছিয়ে। লিওনেল মেসির মোট গোলের সংখ্যা ৮৩৮। আন্তর্জাতিক ম্যাচে দলের হয়ে গোল করেছেন ১০৮। যদিওবা রোনালদোর চেয়ে অনেক কম ম্যাচই খেলেছেন মেসি।
৯০০ গোলের রেকর্ড ছোঁয়ার পর রোনালদো বলেন, রেকর্ড আমাকে ছোঁয়ার চেষ্টা করে, আমি রেকর্ডকে নই। ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে ম্যাচ জয়ের পর ক্রিস্টিয়ানো আরো বলেন, আমাদের দুইটি আন্তর্জাতিক ট্রফি আছে যেগুলো বিশ্বকাপের সমান। যদিওবা এই কথা বলার পর সমালোচনায় পড়েন রোনালদো। অনেকেই বলছে বিশ্বকাপ ব্যর্থতা ভুলতে এই কথা বলেছেন রোনালদো।
আগামী ৯ সেপ্টেম্বর সোমবার দিবাগত রাত ১২টা ৪৫ মিনিটে উয়েফা ন্যাশনস লীগের দ্বিতীয় ম্যাচে স্কটল্যান্ডের মুখোমুখি হবে পর্তুগাল।
পূর্বকোণ/জেইউ/পারভেজ