‘ডি’ গ্রুপের ম্যাচে কলম্বিয়া মাঠে নেমেছিল টানা ২৫ ম্যাচ আর ২ বছর অপরাজিত থাকার রেকর্ড নিয়ে। বিশ্বকাপ বাছাইপর্বেও এই দলের কাছেই ২-১ গোলের হার সইতে হয়েছিল সেলেসাওদের।
তবে এরপর কোচের বদল হয়েছে, ব্রাজিলের খেলার ধারাতেও এসেছে পরিবর্তন। কিন্তু কলম্বিয়াকে হারানো হয়নি আর। প্রথম লিড নিয়েও ১-১ গোলে ড্র করেছে ব্রাজিল। তাতে ‘ডি’ গ্রুপ থেকে রানারআপ হয়ে শেষ আটে যাচ্ছে দোরিভাল জুনিয়রের শিষ্যরা।
ম্যাচের সব রঙ দেখা গিয়েছিল মূলত প্রথমার্ধেই। ম্যাচের ১২ মিনিটে রাফিনিয়ার দুর্দান্ত ফ্রি-কিক জালে না জড়ালে হয়ত হার দিয়েই ম্যাচটা শেষ করতে হতো সেলেসাওদের। পুরো প্রথমার্ধে চাপের মুখে থেকেও ব্রাজিল পুরো ম্যাচে নিজেদের টিকিয়ে রেখেছে রাফিনিয়ার ওই গোলের কল্যাণেই। দুর্দান্ত ছন্দে থাকা কলম্বিয়া আরও আগেই ব্রাজিলের ওপর চেপে বসেছিল, কিন্তু রাফিনিয়ার গোল যেন কিছুটা তাঁতিয়ে দিয়েছিল হামেস রদ্রিগেজদের।
জেফারসন লারমা, লুইস দিয়াজরা এরপর খুব একটা সুযোগই দিলেন না ব্রাজিলকে। মাঝমাঠে আধিপত্য বিস্তার করে বারবার আক্রমণে উঠেছেন। ১৮ মিনিটে পেয়ে যায় গোলটাও। কিন্তু অফসাইডে থাকার কারণে শেষ পর্যন্ত বাতিল হয় সেই গোল। যদিও সেটা কলম্বিয়ার আত্মবিশ্বাস বাড়িয়েছে বহুগুণে। ম্যাচে এরপর শারীরিক ফুটবল উপহার দিয়েছে দুই দলই। কিন্তু সেটাতেও ব্রাজিলকে খুব একটা ম্যাচে ফিরতে দেখা যায়নি।
উল্টো প্রথমার্ধের ইনজুরি সময়ে গোল হজম করে বসে সেলেসাওরা। সহজ এক পাস থেকে এলিসন বেকারকে পরাস্ত করতে বেগ পেতে হয়নি মুনোজের। ১-১ গোলের সমতা নিয়ে বিরতিতে যায় দুই দল।
দ্বিতীয়ার্ধে এসে বরং কিছুটা ঢিমেতালে ফুটবল খেলেছে দুই দলই। প্রথমার্ধের সেই ঝাঁঝালো ফুটবল দেখা যায়নি কারোর মাঝেই। ব্রাজিলও আক্রমণ ছেড়ে কিছুটা মনোযোগী হয় রক্ষণে। তবুও সুযোগ পেলেই ভয় ধরাচ্ছিলেন হামেস রদ্রিগেজ আর জন কর্দোবা। দু’জনে মিলে ব্যস্ত রেখেছিলেন ব্রাজিলের রক্ষণকে। গোলের নিশ্চিত সুযোগ মিসও করেছিল কলম্বিয়া।
৬৯ মিনিটে কর্দোবার শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক এলিসন বেকার। আর ৮৪ মিনিটে রাফায়েল বোরে মিস করেছেন ওপেন নেট। ব্রাজিল বিপরীতে উপহার দিয়েছে ছন্নছাড়া ফুটবল। ৯৫ মিনিটে আন্দ্রেয়াস পেরেইরার শটের আগে দ্বিতীয়ার্ধে একবারও লক্ষ্যে বল রাখতে পারেনি তারা। ১-১ ড্র-টাই তাই শেষ পর্যন্ত সঙ্গী হলো ব্রাজিলের।
পূর্বকোণ/মাহমুদ