চট্টগ্রাম মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর, ২০২৪

সর্বশেষ:

১৩ বছর পর ভারতের বিশ্ব জয়

স্পোর্টস ডেস্ক

৩০ জুন, ২০২৪ | ১১:২৫ পূর্বাহ্ণ

শ্বাসরুদ্ধকর ফাইনালে প্রোটিয়াদের ৭ রানে হারিয়ে বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হল ভারত। ১৭ বছর পর আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের শিরোপা উৎসব করলো রোহিত শর্মারা। রোমাঞ্চকার ফাইনালে তীরে এসে আবারও তরী ডোবাল দক্ষিণ আফ্রিকা। সেমিফাইনালে জিতে চোকার্স অপবাদ ঘুচিয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। কিন্তু জিততে জিততে হেরে যাওয়ার স্বভাব বদলায়নি। ফাইনালে শিরোপা ছোঁয়া দূরত্বে ছিল প্রোটিয়ারা। সেখান থেকে হুট করে ‘চোকিং’ করে ৭ রানে হেরে যায়। প্রোটিয়ারা জয়ের স্বপ্ন ভেঙে দিয়ে ১১ বছর পর আইসিসি’র শিরোপা জিতল ভারত। শেষ ৩০ বলে দলের জয়ের প্রয়োজন ছিল ৩০ রানের, হাতে ছিল ৬ উইকেট। ‘চোর্কাস প্রোটিয়ারা সে সমীকরণ মেলাতে পারলো না। হেনরিখ ক্লাসেন ফেরার পরই খেই হারিয়ে ফেলল। প্রথমে ব্যাট করে বিরাট কোহলির অর্ধশতকে ৭ উইকেটে ১৭৬ রান করে ভারত। জবাবে ৮ উইকেটে ১৬৯ রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি প্রোটিয়ারা। ফাইনালে সেরা খেলোয়াড় হন বিরাট কোহলি আর পুরস্কার জিতেই টি-২০ থেকে অবসরের ঘোষণা দেন তিনি। মাত্র ৩৫ বছর বয়সে শেষ হল বিরাট রূপকথার সমাপ্তি।

 

বার্বাডোজের ব্রিজটাউনের কেনসিংটন ওভালে জয়ের লক্ষ্যে খেলতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহ’র শিকার হয়ে ফেরেন ৪ রানে থাকা রেজা হেনরিকসকে। এরপর তৃতীয় ওভারে ফেরেন অধিনায়ক এইডেন মার্করাম। আর্শদীপ সিং এর বলে শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে থাকা রিশাভ পন্থের হাতে ধরা পড়েন তিনি। তিনিও ৪ রানের বেশি করতে পারেননি তিনি।

 

মাত্র ১২ রানের মাথায় দুই উইকেট হারিয়ে বেশ চাপে পড়ে প্রোটিয়ারা। রপর ট্রিস্টান স্টাবসকে সঙ্গে নিয়ে দলকে এগিয়ে নেওয়ার কাজটা করে যান ডি কক। তৃতীয় উইকেট জুটিতে ৫৮ রান সংগ্রহের পর বিদায় নেন স্টাবস। দলীয় ৭০ রানে অক্ষর প্যাটেলকে মারতে গিয়ে বোল্ড হন। ৩১ রান আসে তার ব্যাট থেকে। দলীয় ১০৬ রানে কুইন্টন ডি কককে ফেরান আর্শদ্বীপ। ৩৯ রান করেন এ প্রোটিয়া ওপেনার। এরপর ঝড় তোলেন হেনরিক ক্লাসেন। ১৫১ রানে হার্দিক পাণ্ডিয়ার শিকার হওয়া আগে ২৭ বলে ৫২ রান করেন তিনি। এরপর মার্কো জনসনকে মাত্র ২ রানে ফিরিয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার ৬ষ্ঠ উইকেটের পতন ঘটান বুমরাহ। দলীয় ১৬১ হার্দিক পাণ্ডিয়ার বলে ডেভিড মিলার ২১ রানে ফিরলে জয় অধরা থেকে যায় প্রোটিয়াদের। ভারতের হার্দিক ৩টি, বুমরাহ ও হর্শদ্বীপ ২টি করে উইকেট নেন।

 

ফাইনালে ম্যাচে অতিরিক্ত চাপ থাকবে এটাই স্বাভাবিক। শুরুতেই সেই চাপে পড়ে ভারত। মাত্র ৩৪ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে থাকে রোহিত শর্মার দল। তবে সেই চাপ সামাল দিয়েছেন আসর জুড়ে রান খরায় ভোগা বিরাট কোহলি। বড় ম্যাচে ঠিকই রানের দেখা পেয়েছেন তিনি। তুলে নিয়েছেন ফিফটি। কোহলির ফিফটিতে ভর করে দক্ষিণ আফ্রিকাকে ১৭৭ রানের টার্গেট দিয়েছে ভারত।

 

এর আগে টস জিতে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ব্যাট করতে নেমে আক্রমণাত্মক শুরু করেন দুই ওপেনার রোহিত শর্মা ও বিরাট কোহলি। তবে দলীয় ২৩ রানে জোড়া উইকেট হারায় ভারত। রোহিত ৫ বলে ৯ ও রিশভ পান্থ রানের খাতা খোলার আগেই সাজঘরে ফিরে যান। এই দুই ব্যাটারের বিদায়ের পর ক্রিজে এসে সুবিধা করতে পারেননি সূর্যকুমার যাদব। দলীয় ৩৪ রানে ৪ বলে ৩ রান করে আউট হন সূর্য। এরপর ক্রিজে আসা অক্ষর প্যাটেলকে সঙ্গে নিয়ে ব্যাট করতে থাকেন কোহলি। দেখেশুনে খেলতে থাকেন এই দুই ব্যাটার। বিরাট কিছুটা দেখে খেললেও আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন অক্ষর। ৭২ রানের জুটি গড়েন তারা। তবে দলীয় ১০৬ রানে ৩১ বলে ৪৭ রান করে আউট হন অক্ষর। তবে একপ্রান্ত আগলে রেখে ৪৮ বলে ফিফটি তুলে নেন কোহলি। ফিফটির পর মারমুখী ব্যাটিং করতে থাকেন কোহলি। দলীয় ১৬৩ রানে কোহলিকে ফেরান জানসেন। ৫৯ বলে ৭৩ রান করেন তিনি। শেষ দিকে শিভম দুবের ২৭ রানে ভর করে ১৭৬ রান সংগ্রহ করে ভারত। প্রোটিয়াদের পক্ষে কেশভ মহারাজ ও এনরিখ নরকিয়া নেন ২টি উইকেট।

পূর্বকোণ/এসএ

শেয়ার করুন

সম্পর্কিত পোস্ট