টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের নবম আসরে সুপার এইট পর্বে শেষ হয় বাংলাদেশ দলের বিশ্বকাপ মিশন। এরপরই দেশের বিমানের অপেক্ষায় ছিল টাইগাররা। শুক্রবার (২৮ জুন) সকাল ৯টায় হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন ক্রিকেটাররা।
গ্রুপ পর্বে দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর সুপার এইটে ভক্তদের হতাশ করেছে টাইগাররা। তারপরও ম্যাচজয়ের হিসেবে এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ। এবারের বিশ্বকাপে তিনটি ম্যাচ জিতেছে বাংলাদেশ। এক আসরে সর্বোচ্চ তিন ম্যাচ জয়ের নজির এবারই গড়লো টাইগাররা।
গ্রুপ পর্বে চার ম্যাচের সবগুলোই মন্থর উইকেটে খেলেছে বাংলাদেশ। যা অনেকটাই ঘরের উইকেটের মতো। ওই ম্যাচগুলোতে বোলাররা সফল হলেও ব্যাটারদের পারফরমেন্স ছিল খুবই হতাশাজনক। তবে এন্টিগায় ভালো উইকেট পেলেও অস্ট্রেলিয়া-ভারতের কাছে হেরে যায় বাংলাদেশ। তারপরও টুর্নামেন্টের কিছু সমীকরণে সেমিফাইনালে খেলার সুযোগ তৈরি হয়েছিল তাদের।
সুপার এইটে নিজেদের শেষ ম্যাচে দারুণ বোলিং নৈপুণ্যে আফগানিস্তানকে ১১৫ রানের বেশি করতে দেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। সেমিফাইনালে যেতে হেলে ১২ দশমিক ১ ওভারে ১১৬ রান করতে হতো টাইগারদের। কিন্তু সেই টার্গেট স্পর্শ করার জন্য দ্রুত রান তোলার কোনও মানসিকতাই দেখা যায়নি বাংলাদেশ দলের মধ্যে।
সেমিফাইনালে ওঠার সমীকরণের পেছনে না ছুটে ম্যাচজয়ের পথ বেছে নেয় বাংলাদেশ। তারপরও বৃষ্টি আইনে ৮ রানে হেরে যায় তারা। আক্রমণাত্মক ক্রিকেট না খেলার কারণে শুধুমাত্র দেশেই নয়, ক্রিকেট বিশ্বেই ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছে বাংলাদেশ দল।
পূর্বকোণ/মাহমুদ