এবারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের তিন ম্যাচেই দাপুটে জয় পেয়েছে আফগানিস্তান। এর মধ্যে শুক্রবার (১৪ জুন) পাপুয়া নিউগিনিকে উড়িয়ে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ তো বটেই, আইসিসির কোন টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্ব পাড়ি দিল আফগানরা।
অন্যদিকে, আফগানিস্তানের জয়ে কপাল পুড়েছে নিউজিল্যান্ডের। গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছে কিউইরা।
ত্রিনিদাদের ব্রায়ান লারা স্টেডিয়ামে শুক্রবার ৭ উইকেটে জিতেছে আফগানিস্তান। আগে ব্যাট করে ৯৫ রান তুলতেই সব উইকেট হারিয়ে ফেলে পাপুয়া নিউগিনি। এ নিয়ে এবারের আসরে ১০০-এর নিচে অলআউট হওয়ার নবম নজির এটি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ইতিহাসে যা সর্বোচ্চ। জবাবে ৪.৫ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় আফগান দল।
আগে ব্যাট করতে নামা পাপুয়া নিউগিনি শুরু থেকেই পড়ে যায় আফগানদের বিষাক্ত বোলিংয়ের সামনে। বিশেষ করে ফজলহক ফারুকি। এই আসরে নিজের উইকেটসংখ্যা ১২-তে নিয়ে গেছেন এই পেসার। তিনি ভালো সহায়তা পান নাভিন-উল-হকের কাছ থেকে।
তাদের দাপুটে বোলিংয়ের সামনে দাঁড়াতেই পারেননি পাপুয়া নিউগিনির কোন ব্যাটার। শুধু তিনজন ব্যাটার দেখা পেয়েছেন দুই অঙ্কের। এর মধ্যে উইকেটকিপার-ব্যাটার কিপলিন দোরিগা ও আলেই নাও অষ্টম উইকেট জুটিতে তোলেন ৩৮ রান। দলের হয়ে সর্বোচ্চ ২৭ রান করেন দরিগা।
বল হাতে ৪ ওভারে ১৬ রান দিয়ে ৩ উইকেট নেন ফারুকি। তবে রান খরচে সবচেয়ে কৃপণ নাভিন। ২.৫ ওভারে মাত্র ৪ রান দিয়ে ২ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ৪ ব্যাটার হয়েছেন রানআউট।
অল্প রানের লক্ষ্য নিয়ে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় ওভারে ওপেনার ইব্রাহিম জাদরানের (০) উইকেট হারায় আফগানিস্তান। তৃতীয় ওভারে ফিরে যান আরেক ওপেনার রহমানুল্লাহ গুরবাজ (১১)। এরপর আর মাত্র ১টি উইকেটই হারিয়েছে আফগানরা। ১৮ বলে ১৩ রান করে বোল্ড হয়ে ফিরেছেন আজমতউল্লাহ ওমরজাই।
আফগানিস্তানকে বাকি পথ সহজেই পার করেন গুলবাদিন নাইব ও মোহাম্মদ নবি। ৩৬ বলে ৪৯ রান করে অপরাজিত থাকেন নাইব। আর নবি অপরাজিত ছিলেন ২৩ বলে ১৬ রানে। আর তাতেই নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে আফগানরা।
পূর্বকোণ/মাহমুদ